সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার মামলা নিয়ে বিরাট আশা জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদের। তাঁর আশা, এই মামলায় আদালত কাশ্মীরবাসীর পক্ষেই রায় দেবে। ২০১৯ সালে মোদী সরকার জম্মু-কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করেছিল। তার বিরুদ্ধেই সুপ্রিম কোর্টে মামলা চলছে। সোমবার সেই মামলার রায়।
এই ব্যাপারে গুলাম নবি আজাদ বলেন, 'আমি আগেই বলেছি, শুধুমাত্র দুটি (প্রতিষ্ঠান) আছে যারা জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণকে ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ ফিরিয়ে দিতে পারে। তা হল, সংসদ এবং সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ নির্দলীয়। আমরা আশা করি যে, আদালত জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের পক্ষে একটি সিদ্ধান্ত নেবে।' কংগ্রেসের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর গুলাম নবি আজাদ, ডেমোক্র্যাটিক প্রগ্রেসিভ আজাদ পার্টি (ডিপিএপি) তৈরি করেছেন। তিনি বলেছেন, ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট পার্লামেন্টে গৃহীত সিদ্ধান্ত আপাতত বদলানোর সম্ভাবনা কম। কারণ, এজন্য লোকসভায় দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রয়োজন হবে। বিরোধীদের সেটা নেই।
আজাদ বলেন, 'সংসদের মাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ ফেরাতে লোকসভায় ৩৫০টি আসন প্রয়োজন। জম্মু ও কাশ্মীরের যে কোনও আঞ্চলিক দল তিন, চার বা সর্বাধিক পাঁচটি আসন পেতে পারে। তা দিয়ে কিছুই বদলাবে না। বিরোধীদেরও সেই ক্ষমতা নেই। (প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র) মোদীজির সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। কিন্তু, তিনি ফেরাননি। তাই কেবল সুপ্রিম কোর্টই কাশ্মীরে ওই সব আইন ফেরাতে পারে।'
আজাদ জানিয়েছেন তাঁদের ধর্ম বা জাতি নির্বিশেষে, সংবিধানের বিশেষ বিধানগুলির সঙ্গে জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের একটি মানসিক সংযুক্তি আছে। সেই সংযুক্তিরই বিচ্ছেদ ঘটেছে চার বছর আগে ২০১৯ সালে। আজাদ বলেন, 'জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ ৩৭০ অনুচ্ছেদ এবং ৩৫এ অনুচ্ছেদের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে নয়, আবেগগতভাবে জড়িত। আমাদের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করার জন্য এই (বিধানগুলি) পুনরুদ্ধার করা গুরুত্বপূর্ণ।'
আরও পড়ুন- এবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে মেয়ো রোডে আন্দোলনকারী চাকরিপ্রার্থীরা, থাকবেন কুণাল ঘোষও
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন যে মহারাজা হরি সিং ১৯২৫ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণের জন্য জমি এবং চাকরি রক্ষার বিশেষ বিধানগুলি প্রণয়ন করেছিলেন। আজাদ বলেন, 'এই বিধানগুলি ৩৫এ অনুচ্ছেদ আকারে স্বাধীনতার পরে দেশের সংবিধানে স্থান পেয়েছে। গত ১০০ বছরে এতগুলো সরকার এসেছে এবং গেছে। কিন্তু, কেউ এটি পরিবর্তন করার প্রয়োজন বোধ করেনি।'