Advertisment

বিজেপি 'ধোঁকাবাজ', পাহাড়ে ফিরেই মমতায় আস্থা গুরুংপন্থী রোশনের

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সাড়ে তিন বছর পর কার্শিয়াংয়ে সভার মাধ্যমে বিমল গুরুংয়ের পাহাড়ে ফেরার পথ সুগম করলেন রোশন গিরি। বিজেপিকে 'ধোঁকাবাজ' বলে কটাক্ষ করে স্পষ্ট করলেন মমতার প্রতি আস্থা। একই সঙ্গে জানালেন, গোর্খাল্যান্ডই মোর্চার একমাত্র দাবি, এবং বোঝালেন পাহাড়ের রাজনীতিতে গুরুং-রোশনদের মূল প্রতিপক্ষ দলের অপর অংশ মুখ্যমন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বিনয় তামাং ও অমিত থাপারা।

Advertisment

শীতেও চড়ছে পাহাড়ের রাজনীতি উত্তাপ। কার্শিয়াংয়ে গুরুং ঘনিষ্ঠ মোর্চা নেতা রোশন গিরি বলেছেন, '১৫ বছর ধরে বিজেপি পাহাড়ের মানুষকে ঠকিয়েছে। কথা দিয়েছে, কিন্তু কথা রাখেনি। আমরা আর ওদের সঙ্গে নেই। আমরা তৃণমূলকে সমর্থন করব। আর পাহাড়ের মানুষও ২০২১ নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন করে তৃতীয় বারের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।'

হাঠাৎ উদর হয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে সমর্থনের কথা পঞ্চমীর দিনই জানিয়েছিলেন বিমল গুরুং। তৃণমূল-গুরুং সমঝোতার পাশাপাশি মোর্চা নেতাদের পাহাড়ে ফিরা নিযেও জল্পনা শুরু হয়, তাহলে হয়। তবে এদিনও স্পষ্ট হল না কবে পাহাড়ে ফিরতে পারেন বিলম গুরুং। তবে, রোশন গিরির দাবি, ৬ ডিসেম্বর বিমল গুরুং বাগডোগরায় নামার পর শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে জনসভা করার পরিকল্পনা রয়েছে। এতে প্রশাসনিক অনুমতিও মিলেছে।

২০১৭ সালে পাহাড় অশান্ত হওয়ার সময়েই দিল্লিতে চলে গিয়েছিলেন রোশন গিরি। দার্জিলিং থানার সাব ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর পর পুলিশ বিমল গুরুংকে ধরতে মরিয়া হয়ে উঠলে ওই মোর্চা নেতা গা ঢাকা দেন। পরে পুজোর আগেই কলকাতায় ফেরেন গুরুং ও গিরি। তাঁদের ফেরার খবরে পাহাড়েও চাঞ্চল্য ছড়াতে থাকে। পরিস্থিতি আঁচ করেই পুজোর পর মোর্চার গুরুং বিরোধী শিবিরের নেতা বিনয় তামাং, অনীত থাপাদের নবান্নে ডেকে বৈঠক করেন মমতা। এরপর কার্শিয়াংয়ে জনসভা করলেন রোশন গিরি। তাহলে তমাং-থাপাদের সঙ্গে সখ্যতার পথ প্রশস্থ হচ্ছে?

জবাবে রোশন গিরি বলেন, 'বিনয়-অনীত পাহাড়কে বরবাদ করে দিয়েছে। স্বজনপোষন, দুর্নীতিই এখন পাহাড়ে অন্যতম বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। বিমল গুরুং পাহাড়ে ফিরলে ফের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে।'

তৃণমূলকে সমর্থন করা হলেও মোর্চা নেতা গুরুং-গিরিরা যে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতেই অনড় তাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন। জনসভায় রোশম গিরির কথায়, ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে যে গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে সমর্থন করবে, তাঁদেরই সমর্থন করবেন তাঁরা। এদিনের সভা ঘিরে ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc bjp Bimal Gurung
Advertisment