মনোহর পারিক্করের প্রয়াণের পর গোয়ার ক্ষমতা নিয়ে জোর দড়ি টানাটানি শুরু হল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে। পারিক্করের মৃত্যুর পর গোয়ায় সরকার গঠনে আরও উঠেপড়ে লাগল কংগ্রেস। অন্যদিকে ক্ষমতা হাতছাড়া না করতে মরিয়া গেরুয়াবাহিনীও। দলের বিধায়কদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনার জন্য রবিবার মাঝরাতেই পানাজি উড়ে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি। এদিকে, গতরাতে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়ে ফের সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছে কংগ্রেস।
পানাজির হোটেলে যখন রবিবার রাতে গড়করির আসার জন্য হা-পিত্যেশ করে বসেছিলেন বিজেপি বিধায়করা, ঠিক তখনই শহরের আরেক প্রান্তে বিরোধী নেতা চন্দ্রকান্ত কাভলেকরের বাসভবনে জড়ো হয়েছিলেন কংগ্রেস বিধায়করা। সরকার গঠন নিয়ে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন চন্দ্রকান্ত। উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে গোয়ায় একক বৃহত্তম দল কংগ্রেস।
Follow the live updates in English
আরও পড়ুন, প্রয়াত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্কর
মনোহর পারিক্কর ও ফ্রান্সিস ডি’সুজার মৃত্যু ও কংগ্রেসের দুই বিধায়কের ইস্তফা, এই দুইয়ের জেরে গোয়া বিধানসভায় এই মুহূর্তে মোট বিধায়কের সংখ্যা ৩৬। কংগ্রেসের হাতে রয়েছে ১৪ জন বিধায়ক। এমজিপি ও গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির হাতে রয়েছে ৩ জন করে বিধায়ক। এনসিপির হাতে রয়েছে ১ বিধায়ক। বাকি ৩ জন নির্দল। প্রসঙ্গত, এমজিপি, গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি ও নির্দলদের সমর্থন রয়েছে পারিক্করের সরকারে। কিন্ত বহুদিন আগেই বিজেপি শরিকরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছিল, পারিক্করের নেতৃত্বাধীন সরকারকেই তারা শুধুমাত্র সমর্থন জানাবে। ফলে পারিক্করের প্রয়াণের পর সমর্থন প্রত্যাহারের সম্ভাবনাও জোরালো হচ্ছে।
আরও পড়ুন, গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হতে চেয়ে কংগ্রেস নেতার দলবদল?
অন্যদিকে, বিজেপির ঘরে রয়েছেন ১২ জন বিধায়ক। যাঁদের মধ্যে পান্ডুরং মাডকিকর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ফলে যদি বিধানসভায় ভোটাভুটি প্রক্রিয়া হয়, তবে তিনি তাতে অংশ নিতে পারবেন না। এই যুক্তি দেখিয়েই কংগ্রেসের তরফে বলা হচ্ছে, তাদের হাতে রয়েছেন ১৪ জন বিধায়ক ও বিজেপির হাতে রয়েছেন ১১ জন বিধায়ক। ভোটাভুটি হলে অধ্যক্ষ প্রমোদ সাওয়ান্তের ভোট নির্ণায়ক হবে। তবে এই মুহূর্তে গোয়ায় কোনও দলই সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। এদিকে, কংগ্রেস নেতা দিগম্বর কামাতের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে দিনভর জল্পনা ছড়ায়। যদিও দল ছাড়ার কথা অস্বীকার করেছেন কামাত।
সে রাজ্যের এহেন পরিস্থিতিতে বিজেপি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার কৌশল নিতে পারে, এমন আশঙ্কাও রয়েছে কংগ্রেসের। বিজেপি শিবিরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, অন্তর্বর্তীকালীন মুখ্যমন্ত্রী করা হতে পারে অধ্যক্ষ প্রমোদ সাওয়ান্তকে। রবিবার মাঝরাতে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হতে পারে। তবে কে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন, সে ব্যাপারে কিছু জানা যায়নি। তবে শেষমেশ গোয়ার গোয়ার ক্ষমতা কার হাতে থাকবে, তার দিশা দেখাবে রাজভবনই। শাসক থেকে বিরোধী, সকলের চোখ এখন রাজভবনে।
Read the full story in English