গোয়ার নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন প্রমোদ সাওয়ান্ত। মঙ্গলবার গভীর রাতে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সাওয়ান্ত।শপথ নেন গোয়া মন্ত্রিসভার ১১ জন সদস্য।
গোয়া বিধানসভার অধ্যক্ষ ছিলেন প্রমোদ। সাংকেলিম বিধানসভার দু’বারের বিধায়ক সাওয়ান্ত। মনোহর পারিক্কর যে কয়েকজন মাত্র বিজেপি নেতাকে হাতেকলমে তৈরি করেছিলেন, সাওয়ান্ত তাঁদের অন্যতম। দলের নীচের তলার কর্মী থেকে শুরু করে খুব দ্রুতই কার্যকর্তা হয়ে উঠেছেন সাওয়ান্ত। তার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ, সাওয়ান্ত বর্তমানে দলের একমাত্র নেতা, যাঁর পিছনে আরএসএসের সমর্থন রয়েছে এবং যাঁর কোনও রাজনৈতিক পিছুটান নেই।
বিজেপি এমন একজন নেতাকেই খুঁজছিল যিনি রাজ্যে অন্তত আগামী ১৫ বছর দলকে নেতৃত্ব দিতে পারবেন এবং পারিক্করের মৃত্যুতে তৈরি হওয়া শূন্যতা পূরণ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন, গোয়ার কুর্সিতে কে? সবার চোখ রাজভবনে
গত বছরের শেষ দিকে দলের মধ্যে থেকে নেতৃত্বে বদলের দাবি ওঠার পর সাওয়ান্ত নাগপুরে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতের সঙ্গে দেখা করেন বলে খবর। সেখানে তিনি স্পষ্ট জানান, তিনি দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন উত্তর গোয়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শ্রীপদ নায়েক।
বিজেপির মুখ্য দুই সহযোগী দল এমজেপি এবং গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি ২০১৭ সালে তাদের সমর্থন জানিয়েছিল এই শর্তে যে পারিক্কর রাজ্যে ফিরে এসে মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেবেন।
সাওয়ান্তের মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়ে দু পক্ষের কেউই তেমন কোনও বিরোধিতা তৈরি করেনি। গোটা প্রক্রিয়ায় বিলম্বের কারণ হল মন্ত্রিত্বের দাবি।
আরও পড়ুন, প্রয়াত গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর পারিক্কর
বিজেপির সামনে অবশ্য খুব বেশি নাম ছিল না। বিশ্বজিৎ রাণে সম্প্রতি কংগ্রেস থেকে দল বদল করে এসেছেন, এক বছরও হয়নি। তাঁকে শীর্ষ পদ দেওয়া সম্ভব ছিল না। বিজেপির দুই খ্রিষ্টান বিধায়ক, লোক সভার ডেপুটি স্পিকার মাইকেল লোবো এবং বিধায়ক মভিন গোডিনহোর নাম মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বিবেচিত হয়নি।
উল্লেখ্য, মনোবর পারিক্করের মৃত্যুর পর গোয়ায় সরকার গড়তে মরিয়া হয়ে ওঠে কংগ্রেস। একক বৃহত্তম দল হিসেবে রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহার কাছে সরকার গড়ার দাবি জানায় কংগ্রেস। ক্ষমতা হাতছাড়া যাতে না হয় সেজন্য উঠেপডড়ে লাগে বিজেপি নেতৃত্ব। শেষমেশ, পরিস্থিতি সামাল দিলেন অমিত শাহরা।
Read the full story in English