নির্বাচন ঘিরে রাজ্যে তৈরি হচ্ছে অশান্তির বাতাবরণ। বুধবার হুগলির চন্দননগরে শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলে 'গোলি মারো' স্লোগান ঘিরে বিতর্ক আরও বাড়ল। হুগলীর সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি সুরেশ সাউ-সহ আরও দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই ঘটনার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও কর্মসূচী নিয়েছে পদ্ম শিবির।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতায় তৃণমূলের মিছিলে ‘দেশ কো গদ্দারো কো, গোলি মারো...’ স্লোগান উঠেছিল। ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে বিজেপি সেই স্লোগান তুলতে কেন গ্রেফতার করল পুলিশ? এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, "দুটি মিছিলে এই স্লোগানের আগেও কিছু কথা ব্যবহার করা হয়েছিল। যা তাৎপর্যপূর্ণ। কাকে গোলি মারো। বিজেপির মিছিলে দেশের গদ্দারকে বলা হয়েছে। দেশের বিশ্বাসঘাতকদের গোলি মারার কথা বলা হয়েছে। আমরা তো অন্যায় দেখছি না কিছু।"
তিনি আরও বলেন, "সামনে নেতাজির জন্মদিন। তিনিও এক কথা বলেছিলেন যে দেশের শত্রুদের জন্য চরম শাস্তি দেওয়া উচিত। তৃণমূলের মিছিলে গদ্দারদের গুলি করতে বলা হয়েছিল। ওরা পার্টির গদ্দারদের বুঝিয়েছিল। যারা দলত্যাগ করেছেন তাঁদের এর আগে বিশ্বাসঘাতক, মিরজাফর বলা হয়েছিল বেশ কিছু দিন ধরে। দুটির মধ্যে পার্থক্য আছে। পুলিশ তৃণমূলের হাতে। তাই বিজেপির কার্যকর্তাদের গ্রেফতার করছে। নিজেদের কার্যকর্তাদের গ্রেফতার করেনি। রঙ দেখে বিচার করা হচ্ছে।"
যদিও বিজেপির এই দাবি মানতে নারাজ তৃণমূল। এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, "বিজেপির স্লোগানের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়। পুলিশ নিজেরা উদ্যোগ নিয়ে সুরেশ সাউ এবং আরও দুজনকে গ্রেফতার করেছে। এটা পুরোপুরি পুলিশ ও আইনের সিদ্ধান্ত। এটাই তৃণমূলের হস্তক্ষেপ নেই। বিজেপির আসলে এসব বলায় অভ্যেস আছে। অনুরাগ ঠাকুর প্রথম এই স্লোগান তোলে।"
বুধবার এই স্লোগান প্রসঙ্গে সুরেশ সাউ জানিয়েছিলেন, ‘দেশে অনুপ্রবেশ ঘটলে বা আতঙ্কবাদী হামলা চললে সেনারা যেভাবে প্রতিবাদ করেন সেটাকেই তুলে ধরতে ওই স্লোগান দেওয়া হয়েছে। কিছু গদ্দার যারা দেশের খেয়ে, দেশের পরে কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে যায় তারা তৃণমূলেও আছে। আমরা ভারতীয় সেনাকে বলব, এই ধরনের যে সব গদ্দার আছে তাদের আগে গুলি করে মারুক।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন