/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/12/jagdeep-dhankhar.jpg)
রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
''আমার অবস্থান স্পষ্ট। আমি কোনও বিলে সই করিনি। হাওড়া ও বালির বিভাজনের কোনও কাগজ আজ পর্যন্ত আমার কাছে আসেনি।'' সোমবার আবারও এই মন্তব্য করে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়ালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বিলের ফাইল পেয়ে রাজ্যকে কিছু প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। প্রায় এক মাস কাটতে চললেও নবান্নের তরফে তাঁকে কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি বলেই দাবি ধনকড়ের।
হাওড়া ও বালি পৃথকীকরণ বিল নিয়ে জট জারি। কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্র মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় হাওড়া পুরনিগম সংশোধনী বিলে সই করেছেন। তবে এজি-র সেই দাবি প্রথমেই উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। টুইটে তিনি জানিয়েছিলেন, হাওড়া পুরনিগম (সংশোধনী) বিল, ২০২১-এ রাজ্যপালের সই সংক্রান্ত রাজ্যের দাবি সঠিক নয়। বিলটি তাঁর বিবেচনাধীন রয়েছে বলেও তিনি জানান।
এরপরেই শোরগোল পড়ে যায়। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে বাম ও কংগ্রেসের নেতারাও একটি বিলে সই ইস্যুতে রাজ্য ও রাজ্যপালের এমন পরষ্পর-বিরোধী বক্তব্য নিয়ে সোচ্চার হন।
Howrah Municipal Corporation (Amendment) Bill, 2021 is pending consideration by WB Governor as inputs @MamataOfficial are awaited.
Proposal to separate Bally Municipality from HMC was never sent for consideration of Governor.
SEC can hold HMC polls with 66 wards as in 2015. pic.twitter.com/ayh8eiSuCd— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) December 27, 2021
যদিও এখনও পর্যন্ত রাজ্যের তরফে বিষয়টি নিয়ে খোলসা করে কিছু জানানো হয়নি। তবে রাজ্যপাল যে হাওড়া-বালি পৃথকীকরণ বিল নিয়ে তাঁর পুরনো অবস্থানেই অনড় আজ আবার তিনি তা স্পষ্ট করেছেন।
আরও পড়ুন- ডিসেম্বর শেষেও ঊর্ধ্বমুখী পারদ, পশ্চিমী ঝঞ্ঝার গেরোয় ফের বৃষ্টির সম্ভাবনা রাজ্যে
এদিন রাজ্যপাল বলেছেন, ''আমার অবস্থান স্পষ্ট। আমি কোনও বিলে সই করিনি। বিলে সই করা আমার দায়িত্ব। অনুচ্ছেদ ২০০-এর অধীনে আমার যা করা উচিত তাই করতে চাই। তবে আজ পর্যন্ত হাও়ডা ও বালির বিভাজনের কোনও কাগজ আমার কাছে আসেনি। বিল নিয়ে সরকারের কাছে জিজ্ঞাসা করলে অসম্পূর্ণ উত্তর পেয়েছি। ওরা বলছেন রাজ্যপাল বিলে দেরি করছেন। ২৪ নভেম্বর আমার কাছে বিলের ফাইল এসেছিল। ২৪ নভেম্বর থেকেই আমি সরকারের কাছে বিল নিয়ে প্রশ্ন করি। তারপর ৪ সপ্তাহ কেটে গেলেও আমার প্রশ্নের উত্তর দেয়নি সরকার।''