/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/01/mamata-dhankhar-1.jpg)
মুখ্যমন্ত্রী-রাজ্যপাল ফোনে কথা।
শেষ পর্যন্ত জট কাটল। বহু প্রতিক্ষিত রাজ্যের তিনটি বিলে সম্মতি দিয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। বুধবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা, রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবংঅর্থসচিব মনোজ পন্থের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যপাল। বিস্তারিত জেনে এরপরই ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল, ২০২২; ওয়েস্ট বেঙ্গল অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন বিল ২০২২ এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিনান্স বিল ২০২২-য়ে সই করেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
সূত্রের খবর, মুখ্য ও অর্থ সচিবের সঙ্গে আলোচনার মাঝেই রাজ্যপালের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর ফোনে কথা হয়েছে। রাজ্যপাল এইসব বিল সম্পর্কে যেসব তথ্য জানতে আগ্রহী তা আগামী সাত দিনের মধ্যে তাঁকে জানানো হবে। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বলে টুইটে জানিয়েছেন জগদীপ ধনকড়।
Constitutional approval accorded to WB Appropriation (No.1) Bill, 2022; WB Appropriation (No.2) Bill, 2022 and WB Finance Bill, 2022, after interaction with CS and Finance Secy and Chief Minister assurance that pending constitutional compliances will be effected within a week. pic.twitter.com/3BPXSW4GjJ
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) March 30, 2022
রাজ্যের একাধিক বকেয়া বিলে সই না করে তা আটকে রেখেছন বলে সরব ছিল শাসক দল। সোচ্চার হয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। পাল্টা রাজ্যপালের তরফে বলা হয়েছিল যে, বকেয়া বিলগুলি সমন্ধে বিস্তারিত জানাতে বলা হলেও সরকার তা জানায়নি। ফলে বকেয়া বিলে সই করা যাচ্ছে না। বিতর্কের মধ্যেই বুধবার দুপুরে রাজ্যপাল টুইটে জানান যে, 'সাংবিধানিক বিষয়গুলির মান্যতায় ক্রমাগত অবহেলা করা হচ্ছে। যা নিয়ে আলোচনার জন্যই মুখ্যসচিব ও অর্থ সচিবেকে তলব করা হয়েছে।' বিকেলে রাজভবনে যান মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং অর্থসচিব মনোজ পন্থ। সন্ধ্যায় রাজভবন ছাড়েন তাঁরা। তারপরই টুইটে, রাজ্যের বকেয়া তিন বিলে সই করার কথা জানান রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান।
বকেয়া বিলের তালিকায় রয়েছে, হাওড়া পুরনিগমের সঙ্গে বালি পুরসভার অন্তর্ভুক্তিও। এ দিন সেই বিলে রাজ্যপাল ছাড়পত্র দিয়েছেন কিনা তা অবশ্য স্পষ্ট হয়নি।