আবারও রাজ্য প্রশাসনের কড়া সমালোচনায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। ভোট পরবর্তী হিংসা ইস্যুতে রাজ্যকে তুলোধনা রাজ্যপালের। মঙ্গলবার ভোট পরবর্তী হিংসায় ‘নিহত’দের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে যান বিজেপি নেতারা। হিংসায় ‘নিহত’দের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পরেই রাজ্যকে দুষে তোপ ধনকড়ের। রাজ্যপালের কথায় ,”রামপুরহাটের ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল। কিন্তু অন্য জায়গায় অত্যাচারিতদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না রাজ্য।”
মঙ্গলবার রাণি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ের ধর্না মঞ্চ থেকে সোজা রাজভবনে পৌঁছে যায় বিজেপি নেতৃত্ব। ভোট পরবর্তী হিংসায় ‘নিহত’দের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিজেপি নেতারা রাজভবনে যান। রাজ্যপালকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। জগদীপ ধনকড় নিজে কথা বলেন স্বজনহারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে।

তারপরেই রাজ্যকে দুষে ধনকড় বলেন, ”সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনার জেরে রাজ্যের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। রামপুরহাটের ঘটনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হল। কিন্তু অন্য জায়গায় অত্যাচারিতদের পাশে দাঁড়াচ্ছে না রাজ্য।” নিপীড়িতদের পাশে রাজ্য না দাঁড়ালে তিনি নিজে এবার উদ্যোগী হবেন বলেও জানিয়েছেন রাজ্যপাল।

একুশের ভোটের ফল প্রকাশের পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের উপর শাসকদল হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। তৃণমূলের আক্রমণে ইতিমধ্যেই বিজেপির বহু কর্মী-সমর্থক ‘নিহত’, আহত হয়েছেন বলে দাবি পদ্ম শিবিরের। মঙ্গলবার রানি রাসমণি অ্যাভিনিউয়ে ভোট পরবর্তী হিংসায় ‘নিহত’দের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ধর্নায় বসেছিলেন বিজেপি নেতারা।

এরপর সেই ধর্না মঞ্চ থেকেই রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের কাছে স্মারকলিপি দিতে যায় বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন রাজভবনে গিয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষরা।