এবার রাজ্যপালের নিশানায় মমতা সরকারের 'মা কিচেন' প্রকল্পে ব্যয় বরাদ্দ। এই প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে 'অসাংবিধানিক'ভাবে, অভিযোগ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের। মা কিচেন প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দ ও খরচের খতিয়ান জানতে চেয়ে অর্থ দফতরের সচিবকে চিঠি দিয়েছেন রাজ্যপাল। শনিবার টুইট করে নিজেই এই কথা জানিয়েছেন তিনি।
চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে বাজেট বরাদ্দে 'মা কিচেন' প্রকল্প চালুর ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রকল্পে গরিবদের ৫ টাকায় ভাত-ডাল, ডিম ও সবজির তরকারি দেওয়া হচ্ছে। আপাতত কলকাতার ১৪৪টি ওয়ার্ডের ১৬টি বরোয় চালু রয়েছে এই প্রকল্প। কিন্তু কলকাতা পুরভোটের ঠিক আগে এই প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্ক বাড়ালেন রাজ্যপাল।
কী অভিযোগ ধনকড়ের?
টুইটে অর্থ দফতরের সতিবকে লেখা চিঠি জুড়ে দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়। সেখানে উল্লেখ, তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রের তৈরি বাজেট যা বিধানসভায় পেশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সেখানে বলা হয়েছিল যে, মানুষের সুবিধার জন্য ন্যূনতম মূল্যে রান্না করা খাবর মা কিচেন প্রকল্পের আওতায় বিক্রি করা হবে। ১লা এপ্রিল ২০২১ থেকে ৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত এই প্রকল্পের ব্যয় বরাদ্দ করা হয়েছিল ১০০ কোটি টাকা। বাজেট পাসের মাধ্যমে এই প্রকল্পে অনুমোদন মেলে, ফলে প্রকল্পটি আইন স্বীকৃত।
রাজ্যপালের দাবি, জনগণের কাছ থেকে তিনি জানতে পেরেছেন যে 'মা কিচেন' চলতি বছর ১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়ার কথা থাকলেও তা চালু হয়েছে ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। অর্থাৎ নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় মাস আগে। এই সময়কালে ওই প্রকল্পে ব্যয় 'অসাংবিধানিক' বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল। একই সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের আগে 'মা কিচেন' চালানোর জন্য কত ব্যয় হয়েছে এবং তাতে কার অনুমোদন ছিল তা জানতে চেয়ে অর্থ দফতরের সচিবকে চিঠি দিয়েছেন জগদীপ ধনকড়। এক সপ্তাহের মধ্যে জবাবদিহি করতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০১৬ থেকে শুরু হওয়া বাণিজ্য সম্মেলনের খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিতর্ক বাড়িয়েছিলেন রাজ্যপাল ধনকড়। এবার সেই তালিকায় যোগ হল 'মা কিচেন' প্রকল্প।
এপ্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, 'রাজ্য সরকার প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে বিধানসভায় জবাবদিহি করবে। রাজ্যপালকে এই বিষয়ে জবাব দিতে রাজ্য সরকার দায়বদ্ধ নয়। উনি পক্ষপাতদুষ্ঠ আচরণ করছেন, অবান্তর কথায় তারই দৃষ্টান্ত রাখছেন।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন