'সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে যে কোনও সময় রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকতে পারেন।' চাঞ্চল্যকর এই দাবি করেছেন বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বিধায়ক মিহির গোস্বামী। মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্য বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতির মন্তব্য ঘিরে রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা।
দিন কয়েক আগে সৌমিত্র খাঁ দাবি করেছিলেন, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, গৌতম দেব, রবীন্দ্রনাথ ঘোষ-সহ একদল মন্ত্রী বিজেপির সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলছেন। তাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করবেন। তৃণমূলের ৫৮ জন বিধায়ক সেই তালিকায় রয়েছেন।
রবিবার সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, 'যেভাবে তৃণমূল বিধায়করা দল ছাড়ছেন তাতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে যে কোনও সময় রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে ডাকতে পারেন।'
বিজেপি সাংসদের এই দাবির জবাবে তৃণমূলে বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় বলেছেন, 'সৌমিত্র কি করে জানলেন যে রাজ্যপাল এমন অসাংবিধানিক কাজ করতে পারেন? পর্যাপ্ত সংখ্যার অনেক বেশি বিধায়ক সরকারের সমর্থনে রয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠ কোনও সরকারের সঙ্গে এমন ব্যবহার কি করা যায়।'
উল্লেখ্য, তৃণমূলের হাতে রয়েছে ২১৮ জন বিধায়ক।
মমতা সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ সংক্রান্ত সৌমিত্রের দাবির আগেই অবশ্য রাজ্য বিজেপি সভাপতি বলেছিলেন, 'আগামী এক মাসের মধ্যে তৃণমূল দলটাই আর থাকবে না। তৃণমূলের কাছে আগামী ডিসেম্বর মাসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওরা কোনও বিদ্রোহী নেতৃত্বকে বহিষ্কার করতে ভয় পাচ্ছে। শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রেও তাই হল।' দিলীপবাবুর মন্তব্যের পরেই পরেই সৌমিত্র খাঁর চাঞ্চল্যকর দাবি রাজ্য রাজনীতির প্রেক্ষিতে তাই অত্যন্ত তাৎপর্যবাহী বলেই মনে করা হচ্ছে।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন