বুধবার দিল্লিতে হিংসার ঘটনার "মোকাবিলায়" তিয়ানানমেন স্কোয়ার থেকে "শিক্ষা" নেওয়ার কথা বলে টুইট করেন তিনি। শুক্রবার সেই টুইট ডিলিট করে দেন মেঘালয়ের রাজ্যপাল তথাগত রায়।
"মনে পড়ে, ১৯৮৮ সালে বেইজিংয়ের তিয়ানানমেন স্কোয়ার? এবং কীভাবে তার মোকাবিলা করেছিলেন ডেং শাওপিং? উত্তরপূর্ব দিল্লিতে পরিকল্পিত হিংসার ঘটনার মোকাবিলা করতে বোধহয় সেখান থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত। সমস্ত কমরেডরা নিশ্চয় আমার সঙ্গে একমত হবেন!" বুধবার লেখেন তথাগতবাবু।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালের ৪ এবং ৫ জুন তিয়ানানমেন স্কোয়ারে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী ছাত্রছাত্রীর ওপর রক্তক্ষয়ী আক্রমণ চালায় চিনের সরকার। নিহত হন অন্তত কয়েকশো (অনেকে বলেন কয়েক হাজার) বিক্ষোভকারী নাগরিক।
শুক্রবার পুরোনো টুইট ডিলিট করে ফের একটি পোস্ট দেন তথাগতবাবু, যার মর্মার্থ, "নানা রঙের কমরেড, যাঁদের মধ্যে কমিউনিস্টও রয়েছেন, তাঁদের পিতৃভূমি সম্পর্কে আমার টুইট দেখে ব্যথিত হয়েছেন। তাঁদের প্রতি মমতাবশত আমি আমার টুইট ডিলিট করে দিয়েছি। তাঁরা তো ভারতীয়, নন কি?"
তাঁর পুরোনো টুইটের বক্তব্যকে তিনি এখনও সমর্থন করেন কিনা জানতে চাওয়ায় ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তথাগতবাবু জানান, "আমি টুইটার থেকে, এবং আমার স্মৃতি থেকেও, ওই টুইট মুছে দিয়েছি। পিতৃভূমি নিয়ে আমার ওই টুইট নাকি অনেক কমিউনিস্টের মনে আঘাত করেছে। তাঁদের কান্নার এমনিই যথেষ্ট কারণ রয়েছে, আমি নাহয় আর কারণ নাই যোগালাম।"
বিতর্ক এবং তথাগত রায় দীর্ঘদিনের সঙ্গী। গত বছর পুলওয়ামা হামলার পর এক অবসরপ্রাপ্ত সেনা আধিকারিকের বক্তব্যের সমর্থনে কাশ্মীরীদের অর্থনৈতিকভাবে বয়কট করার কথা বলে টুইট করেন তিনি। গত বছরেরই ডিসেম্বর মাসে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন-বিরোধী প্রতিবাদ চলাকালীন তথাগতবাবু টুইট করেন যে যাঁরা "বিভাজনের গণতন্ত্র" চান না, তাঁরা উত্তর কোরিয়া চলে যেতে পারেন।