মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল গোটা দেশ। এই নিয়ে সংসদের ভিতরে এবং বাইরে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়াচ্ছে বিরোধীরা। মোদী সরকারের উপর চাপ বাড়াতে চলেছে INDIA জোট। ২৯ ও ৩০ জুলাই দু’দিনের মণিপুর সফর শেষে সংসদে এসে রাষ্ট্রপতির কাছে বিস্তৃত প্রতিবেদন পেশ করতে চলেছেন বিরোধী জোটের সাংসদরা। এর আগে লোকসভায় অনাস্থা অন্যদিকে রাজ্যসভায় রুল ২৬৭ অনুযায়ী মুলতুবি প্রস্তাব এনেছিল বিরোধীরা। মোদী সরকারের উপরে চাপ বাড়িয়ে আরও কয়েক ধাপ এগোনোর কৌশল বজায় রেখেছে বিরোধীরা।
এসবের মাঝেই কেন্দ্র রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে আজ দুপুর ২টায় মণিপুর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন। বিরোধী ২৬৭ বিধির অধীনে আলোচনার দাবি জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গোয়েল বলেছেন, "আমরা চাই মণিপুর নিয়ে আলোচনা। আজ দুপুর ২টো'ইয় সংসদে মণিপুর নিয়ে আলোচনা হোক। সরকার মণিপুর নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত, বিরোধীরা ইতিমধ্যেই সংসদের ৯টি গুরুত্বপূর্ণ দিন নষ্ট করে ফেলেছে।"
সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া জোটের নেতারা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখর এবং লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার সঙ্গে দেখা করবেন যে মণিপুর সফর শেষে বাস্তব পরিস্থিতি সংসদে তুলে ধরার দাবি জানাবেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও বিরোধী দলগুলিকে সংসদের ভিতরে এসে আলোচনায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি মনে করিয়ে দেন যে সরকার প্রথম দিন থেকে মণিপুর হিংসা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রস্তুত।
তিনি বলেন, "আমরা প্রথম দিন থেকেই আলোচনা চাই। তাদের (বিরোধীদের) আলোচনা করতে কে বাধা দিচ্ছে?… তারা আলোচনায় অংশ নেওয়ার পরিবর্তে কেবল আলোচনা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে… এটা স্পষ্ট যে তারা মণিপুর নিয়ে রাজনীতি করছে"। বিরোধীরা মণিপুর ইস্যুতে সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতির দাবিতে অনড় রয়েছেন।
৩ মে থেকে, তফসিলি উপজাতি (এসটি) মর্যাদার জন্য মেইতি সম্প্রদায়ের অনুরোধের প্রতিবাদে পার্বত্য জেলাগুলিতে একটি 'উপজাতি সংহতি মার্চ' অনুষ্ঠিত হওয়ার পরে মণিপুরে জাতিগত সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষের ফলে ১৬০ জনেরও বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে এবং কয়েক শতাধিক আহত হয়েছে।