'গণপিটুনি বিরোধী' বিল পাস হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায়। সেই বিল ঘিরেই বিতর্ক। খসড়া বিলের সঙ্গে চূড়ান্ত আইনের পার্থক্য রয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস ও বামেদের। মঙ্গলবার, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে দেখা করে তাদের অভিযোগের কথা জানান বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় দল নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাদের দাবি,' গণপিটুনি বিরোধী' বিলে মারাত্মক 'অনিয়ম' ও 'অসঙ্গতি' রয়েছে।
আরও পড়ুন: আজ দিল্লিতে মুখোমুখি মোদী-মমতা
গত মাসের ২৬ তারিখ বিধাননসভায় গ'ণপুটুনি বিরোধী' বিলের খসড়া বিলি করা হয় বিধায়কদের। সেই বিলে গণপিটুনিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চরম শাস্তি হিসাবে মৃত্যদণ্ডের বিধান ছিল না। যা বিধানসভায় পেশ করার অনুমতি দিয়েছিলেন রাজ্য়পাল। কিন্তু, ৩০শে আগস্ট যে বিল পেশ করা হয়, সেখানে সেই শাস্তির উল্লেখ রয়েছে। ইতিমধ্যেই ধ্বনি ভোটে তা পাস হয়ে গিয়েছে। ফলে খসড়ার থেকে আইনের পার্থক্য স্পষ্ট। এখানেই আপত্তি বিরোধিদের। কংগ্রেস ও বামেদের অভিযোগ, এটা ছাপার ভুল নয়, ভযঙ্কর ত্রটি।
জানা গিয়েছে, বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্য পাল জগদীপ ধানকর। সংবিধানের আওতায় থেকে বিধানসভায় নথি খতিয়ে দেখতে তিনি তৎপর হবেন বলে জানিয়েছেন। প্রয়োজনে স্পিকার ও অ্যাডভোকেট জেনারেলের কাছেও বিরোধীদের অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইতে পারেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: মোদী-মমতা বৈঠক ঘিরে ‘আঁতাঁতের’ অভিযোগ বাম-কংগ্রেসের
রাজ্যে গণপিটুনির ঘটনা বাড়ছিল। শহর কলকাতাতেও গণপিটুনিতে এক জনের প্রাণ যায়। রাজস্থানের পর দেশে দ্বিতীয় রাজ্য হিসাবে গণপিটুনি ঠেকাতে আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার। এরপরই, গত ৩০শে আগস্ট বিধানসভায় পাস হয় গণপিটুনি বিরোধী বিল। আইনে রয়েছে, গণপিটুনিতে অভিযুক্ত প্রমাণিত হলে চরম শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে। তবে, বিরোধীদের দাবি, খসড়ায় লেখা ছিল সর্বোচ্চ শাস্তি, যাবজ্জীবন ও পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা। কিভাবে মুখ্যমন্ত্রীর পেশ করা বিলের শাস্তির বিধানের সঙ্গে খসড়া বিলের ফারাক হল তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
Read the full story in English