Big Decision on CAA: লোকসভা নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় সরকার CAA নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে পারে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সিনিয়র এক সরকারি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা পিটিআই এই তথ্য জানিয়েছে।
মোদী সরকারের দ্বারা আনা CAA-এর অধীনে, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা নির্যাতিত অ-মুসলিম শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রদান করা হবে। সংসদে ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বিলটি অনুমোদন করেছিল এবং পরে রাষ্ট্রপতির সম্মতি পাওয়ার পরেও তা আইনে পরিণত করা সম্ভব হয়নি। এর প্রতিবাদে দেশের কিছু অংশে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়।
স্বারাষ্ট্র মন্ত্রকের ওই আধিকারিক বলেছেন, 'আমরা শীঘ্রই CAA-এর নিয়ম জারি করতে যাচ্ছি। বিধি জারি হওয়ার পরে, আইনটি কার্যকর করা হবে এবং যোগ্য ব্যক্তিদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আইনটি চার বছরেরও বেশি সময় বিলম্বিত হয়েছে এবং আইনটি বাস্তবায়নের জন্য বিধি প্রয়োজন।
এপ্রিল-মে মাসে লোকসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণার আগে আইনের রুল জারি হয়ে যাবে কিনা জানতে চাইলে ওই আধিকারিক বলেন, 'হ্যাঁ, তার অনেক আগেই তা চালু হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন লাক্ষাদ্বীপে উন্নয়ন মোদীর গ্যারান্টি, আগের সরকারকে দুষে কেন্দ্রের কৃতিত্ব জাহির
তিনি বলেন, "বিধি প্রস্তুত এবং অনলাইন পোর্টালও প্রস্তুত এবং পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে হবে।" আবেদনকারীদের অবশ্যই ঘোষণা করতে হবে যে তারা ভ্রমণ সংক্রান্ত কোণ নথি ছাড়াই ভারতে প্রবেশ করেছে। আবেদনকারীদের কাছ থেকে কোনো নথি চাওয়া হবে না।
কী বললেন অমিত শাহ?
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২৭ ডিসেম্বর বলেছিলেন যে সিএএ বাস্তবায়ন কেউ আটকাতে পারবে না, কারণ এটি দেশের আইন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই ইস্যুতে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ করেছিলেন।
কলকাতায় একটি দলীয় সভায় ভাষণ দেওয়ার সময় শাহ বলেছিলেন যে সিএএ বাস্তবায়ন বিজেপির প্রতিশ্রুতি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল কংগ্রেস CAA-র বিরোধিতা করছে। পশ্চিমবঙ্গে গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে সিএএ বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি ছিল বিজেপির একটি প্রধান নির্বাচনী ইস্যু।
সংসদীয় বিধি অনুসারে, রাষ্ট্রপতির সম্মতি পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যে যে কোনও আইনের রুল জারি করতে হবে। অথবা লোকসভা এবং রাজ্যসভার থেকে তা বাড়ানোর অনুরোধ করতে হবে। নিয়ম প্রণয়নের প্রতি ছ’মাস অন্তর ওই আইনের ধারা তৈরির জন্য অতিরিক্ত সময় চেয়ে এসেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সিএএ আন্দোলনের জেরে এখনও পর্যন্ত ১০০ মানুষ নিহত হয়। সিএএর সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক পিটিশন সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়।
আবেদনকারীরা দাবি করেছেন যে আইনটি শুধুমাত্র পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের জন্য প্রযোজ্য। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারের অভিযোগ এনেছে বিরোধীরা কারণ আইনে মায়নামারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা, চিনের তিব্বতি বৌদ্ধ এবং শ্রীলঙ্কার তামিলদের জন্য কোন বিধির উল্লেখ করা হয়নি ।