/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2018/09/gst.jpg)
জিএসটি এক্সেম্পশন লিমিট বার্ষিক ২০ লক্ষ টাকা থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ ৪০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে এবং উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলির ক্ষেত্রে ২০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে।
গতবছর পয়লা জুলাই থেকে দেশ জুড়ে চালু হয়েছিল পণ্য ও পরিষেবা কর বা জিএসটি (গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স)। এই জিএসটির বিজ্ঞাপনে এক বছরে কেন্দ্রের খরচ হয়েছে ১৩২.৩৮ কোটি টাকা। সম্প্রতি তথ্যের অধিকার সংক্রান্ত এক মামলার প্রেক্ষিতে এই তথ্য সামনে এনেছে কেন্দ্রীয় তথ্য এবং সম্প্রচার মন্ত্রক।
শুধুমাত্র সংবাদপত্রেই জিএসটির বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য সরকারের তহবিল থেকে খরচ হয়েছে প্রায় ১২৬ কোটি ৯৪ লক্ষ টাকা। আরটিআই মামলার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রের বয়ান অনুযায়ী পণ্য ও পরিষেবা কর সংক্রান্ত সচেতনতা বাড়াতে যে সমস্ত প্রচার চালানো হয়েছিল, তাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৫ কোটি ৪৪ লক্ষ টাকা। স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন ছিলেন প্রচারের মুখ।
#GST#Advertisements: Government Spent Rs 132 Crore To Spread Awareness on GST in #Print, #Outdoor Ads https://t.co/K3hzdEIuXV
— LatestLY (@latestly) September 3, 2018
জিএসটি চালু হওয়ার পর পর দেশের অধিকাংশ প্রথম শ্রেণির দৈনিকে জিএসটি -র বিজ্ঞাপন ছাপা হয়েছিল। যদিও বৈদ্যুতিন মাধ্যমে বিজ্ঞাপনের খাতে কোনও খরচ হয়নি বলেই দাবি করেছে কেন্দ্র। 'সেন্ট্রাল বোর্ড অব এক্সাইজ এন্ড কাস্টমস'(সিবিইসি)-এর পক্ষ থেকে পণ্য এবং পরিষেবা কর সংক্রান্ত সম্ভাব্য ৫০টি প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছিল সাধারণ মানুষের সুবিধের জন্য।
জিএসটি চালু হওয়ার আগে এবং পরে এর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন অনেক বিরোধী নেতাই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই জিএসটির বিরুদ্ধে মুখ খুলেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোোপাধ্যায়।
Rupee suffering from low fever.
Petrol and Diesel prices highest ever.My latest FB post: https://t.co/Jfbm6dkXjEpic.twitter.com/mXprqb6Szv
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) August 31, 2018
জিএসটির সঙ্গে সঙ্গে টাকার দাম পড়ে যাওয়া এবং পেট্রোল ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়েও তাঁর টুইটার এবং ফেসবুক প্রোফাইলে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মমতা।