গ্রেফতারের একদিন পর রবিবার চন্দ্রবাবু নাইডুকে আদালতে পেশ করা হয়। এর আগে সিআইডি ১০ ঘন্টা জেরা করে তাঁকে। গ্রেপ্তারের পরে, চন্দ্রবাবু নাইডু জানিয়েছেন, ‘তাঁর বিরুদ্ধে কোনও প্রমাণ নেই বা এফআইআর-এ কেলেঙ্কারিতে তাঁর ভূমিকারও কোন উল্লেখ করা হয়নি’। দুর্নীতিতে যুক্ত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হলে অন্তত দশ বছর জেলে থাকতে হতে পারে চন্দ্রবাবুকে।
TDP প্রধান এবং অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রবাবু নাইডু, দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে তাঁকে বিজয়ওয়াড়ার দুর্নীতি দমন আদালতে পেশ করা হয়। সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নাইডুর প্রতিনিধিত্ব করছেন। এ সময় আদালত চত্বরে বিপুল সংখ্যক টিডিপি নেতা-কর্মী জড়ো হন।
স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন কেলেঙ্কারির অভিযোগে শনিবার সকালে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী নাইডুকে গ্রেফতার করে অন্ধ্রপ্রদেশ সিআইডি। ভোর ৩টেয় তাকে গ্রেফতার করা হয়। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, কুঞ্চনপল্লি অফিসে CID-এর বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT) টানা ১০ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে চন্দ্রবাবু নাইডুকে। এর পরে, নাইডুকে শনিবার-রবিবার মধ্য রাতে ৩.৪০ নাগাদ ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বিজয়ওয়াড়ার সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরীক্ষা শেষে নাইডুকে SIT-এর অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
অন্ধ্রপ্রদেশের সিআইডি প্রধান এন সঞ্জয় বলেছেন যে চন্দ্রবাবু নাইডুকে স্কিল ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন সম্পর্কিত কেলেঙ্কারির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। কথিত কেলেঙ্কারির কারণে রাজ্যের ৩০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে নাইডুর গ্রেফতারের প্রতিবাদে টিডিপি রবিবার অন্ধ্রপ্রদেশ জুড়ে গণ অনশন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
টিডিপি নাইডুর ‘অবৈধ’ গ্রেফতারে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হস্তক্ষেপ চেয়েছে। এই গ্রেফতারকে ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’ বলে টিডিপি অভিযোগ করেছে। বিজয়ওয়াড়ার টিডিপি সাংসদ কেসিনেনি শ্রীনিবাস এই ব্যাপারে চিঠিও দিয়েছেন।