পদ্ম শিবির থেকে পদত্যাগ করলেন গুজরাটের ভারুচের সাংসদ তথা আদিবাসী নেতা মনসুখ ভাসাভা। মঙ্গলবারই তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। MoEFCC-এর বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নর্মদা জেলার ১২১ টি গ্রামকে ‘ইকো সেনসিটিভ জোন’ হিসাবে ঘোষণা করার কথা মোদীকে চিঠি লিখে জানান তিনি। এর একদিন পরই পদত্যাগ করলেন আদিবাসী এই নেতা।
গুজরাটের বিজেপি সভাপতি সি আর পাটিলকে চিঠি লিখে তিনি জানিয়ে দেন, আসন্ন বাজেট অধিবেশনের সময় তিনি সংসদের স্পিকারের হাতে তাঁর পদত্যাগপত্র তুলে দেবেন। চিঠিতে মনসুখ লেখেন, "দল আমাকে সামর্থ্যের বাইরে সুযোগ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি আমি সর্বদা কৃতজ্ঞ থাকব। আমি সতর্কতার সঙ্গে দলের নীতিগুলির পাশাপাশি আমার ব্যক্তিগত বিশ্বাস মেনে চলেছি। তবে দিন শেষে আমি দেখব যাতে আমার ভুলগুলি যেন দলের ক্ষতি না করে। আমি পদত্যাগের বিষয়টি পেশ করছি। আসন্ন বাজেট অধিবেশনকালে আমি সংসদ সদস্য হিসাবে পদত্যাগ মাননীয় লোকসভা স্পিকারের কাছেও জমা দেব।"
আগামী বছরের গোড়ার দিকে গুজরাটে স্থানীয় নির্বাচনের আগে এই পদত্যাগ নি:সন্দেহে বড় ধাক্কা। স্ট্যাচু অফ ইউনিটির পাশে নর্মদা নদীকে কেন্দ্র করে ১২১টি গ্রামকে ইকো সেনসিটিভ জোন করা নিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয় আদিবাসীদের মধ্যে। গত সপ্তাহে এই বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লেখেন মনসুখ। যাতে উল্লেখ করা হয় পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক তাঁদের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে। এর মাধ্যমে এলাকায় আদিবাসীদের মধ্যে শান্তি ফেরানোর আর্জিও জানান তিনি।
যদিও পদ্ম শিবিরেরই একাংশ বিরোধিতা করে। মোদীর রাজ্যের রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত এর পরই এমন সিদ্ধান্ত নেন ছ'বারের বিজেপি সাংসদ। তবে এর আগে রামমন্দির নিয়ে মনসুখের মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছিল বিজেপি শিবির। অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের রায় প্রেক্ষিতে সাংসদ বলেছিলেন, 'কেন্দ্রে বিজেপি সরকার আছে বলেই অযোধ্যায় মন্দিরের স্বপক্ষে রায় দিয়েছে শীর্ষ আদালত।’
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন