বুধবার গভীর রাতে গ্রেফতার গুজরাতের বিধায়ক জিগনেশ মেভানি। গুজরাতের পালানপুর সার্কিট হাউস থেকে গত রাতে তাঁকে গ্রেফতার করেছে অসম পুলিশের একটি দল। ট্রানজিট রিমান্ডে তাঁকে অসমে নিয়ে যাওয়া হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।
জিগনেশের গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা কানহাইয়া কুমার টুইটে লিখেছেন, ''বদগামের বিধায়ক জিগনেশ মেভানিকে অসম পুলিশ পালানপুর সার্কিট হাউস থেকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ এখনও এফআইআর-এর কপি আমাদের দেখাতে পারেনি। অসমে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা কিছু মামলার বিষয়ে আমাদের জানানো হয়েছে। রাতেই তাঁকে অসমে নিয়ে যাওয়া হতে পারে।''
উল্লেখ্য, যুবনেতা জিগনেশ মেভানি গত বছরের সেপ্টেম্বরে কানহাইয়া কুমারের সঙ্গেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। গুজরাতের দলিত নেতা জিগনেশ। রাজনীতির ময়দানে সক্রিয়ভাবে তিনি পা রাখেন ২০১৭ সালে। রাজ্যজুড়ে বিজেপির একাধিপত্বকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হার্দিক প্যাটেল এবং আলপেশ ঠাকুরের সঙ্গে ২০১৭-এর বিধানসভা নির্বাচনে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিলেন জিগনেশ। এদিকে, গত বছর আর এক যুবনেতা কানহাইয়া কুমারের সঙ্গে তিনিও কংগ্রেসে যোগ দেন।
আরও পড়ুন- Special: শাসক পদ্ম থেকে বিরোধী জোড়া-ফুল, ঘুম কাড়তে রাজ্য-রাজনীতির ময়দানে ‘তিপ্রা মথা’
কংগ্রেসও এই যুবনেতাদের দলে অন্তর্ভুক্তিকে ইতিবাচক বলেই দেখেছিল। কানহাইয়া, জিগনেশের মতো যুবনেতার দলে যোগ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, সুস্মিতা দেব, জিতিন প্রসাদ, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী এবং ললিতেশপতি ত্রিপাঠিদের বিকল্প হতে পারে বলে ধারণা কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের। একাধিক এই যুব নেতা ও নেত্রী গত দু'বছরে কংগ্রেস ছেড়েছেন।
Read story in English