যে কারণে দীর্ঘদিনের জোট ভাঙল, শেষপর্যন্ত সেটাই করল বিজেপি। ২০১৯ সালে বিধানসভার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সির দাবি জানিয়েছিলেন শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। দাবি করেন, আড়াই-আড়াই বছর করে মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন শিবসেনা এবং বিজেপির লোক। কিন্তু তাতে রাজি হননি অমিত শাহ। গোঁসা করে বিজেপির সঙ্গে দীর্ঘদিনের জোট ভাঙেন উদ্ধব, হাত মেলান এনসিপি-কংগ্রেসের সঙ্গে।
আড়াই বছর পর শিবসেনারই লোক কুর্সিতে বসলেন। তাঁর ডেপুটি হলেন বিজেপির নেতা। এটাই তো চেয়েছিলেন উদ্ধব। তখন বিজেপি রাজি না হয়ে এখন কেন হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিবসেনা প্রমুখ। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, "যদি তখন অমিত শাহ পাল্টি না খেতেন এবং শিবসেনাকে আড়াই বছরের জন্য কুর্সি ছেড়ে দিতেন, তাহলে মহা বিকাশ আঘাড়িও তৈরি হত না আর আজ, বিজেপির লোক মুখ্যমন্ত্রী হতেন।"
উদ্ধবের কটাক্ষ, "গতকাল যা হল, সেটাই তো আমি অমিত শাহকে বলেছিলাম। আড়াই বছর শিবসেনা আর আড়াই বছর বিজেপি গদিতে বসবে। এটা যদি আগেই করতেন, তাহলে তো শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট হতই না।"
আরও পড়ুন শিণ্ডের শপথে নেচে-কুঁদে অস্থির বিদ্রোহীরা, গোয়ায় ফিরে ‘সবক’ শেখালেন নয়া মুখ্যমন্ত্রী
প্রসঙ্গত, আগামী ৩ জুলাই মহারাষ্ট্র বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন শুরু হবে। ওই দিনই নয়া স্পিকারের নির্বাচন হবে। আগামিকাল বেলা ১২টা পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। এদিকে, ৪ জুলাই আস্থা ভোট হবে বিধানসভায়। ওইদিন একনাথ শিণ্ডের অগ্নিপরীক্ষা। বিধানসভায় সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে তাঁকে।
শোনা যাচ্ছে, শিণ্ডে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না। ছোট ছোট দল, নির্দলদের সঙ্গে টানছেন। সূত্রের খবর, রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার একমাত্র বিধায়ককে দলে টানতে চাইছেন শিণ্ডে। তার জন্য মন্ত্রিসভার পদও প্রস্তাব দিয়ে রেখেছেন রাজ ঠাকরেকে। তবে উদ্ধবের ভাই তা মানবেন কি না সেটাই দেখার।