বগটুইয়ের মতো এবার হাঁসখালি কাণ্ডেও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম তৈরি করল বিজেপি। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল পাঠাচ্ছে হাঁসখালিতে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাঁরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে রিপোর্ট দেবে। পাঁচ সদস্যের এই সত্যসন্ধানী দলে রয়েছেন বিজেপির মহিলা নেত্রীরা। যোগী সরকারের মন্ত্রী বেবিরানি মৌর্য, সাংসদ রেখা ভর্মা, অভিনেত্রী-বিজেপি নেত্রী খুশবু সুন্দর, মালদার ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরি, তামিলনাড়ুর বিধায়ক এবং মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনতী শ্রীনিবাসন।
এর আগে বগটুই কাণ্ডেও এমনই এক পাঁচ সদস্যের সত্যসন্ধানী দল পাঠিয়েছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে। সেই দলে বাংলার রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিজেপি নেত্রী ভারতী ঘোষ ছিলেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে একটি স্টেটাস রিপোর্ট দিয়েছিল সেই কমিটি। তাতে বেশ কয়েকবার অভিযুক্তদের নামের তালিকায় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের নাম ছিল। তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এবার হাঁসখালি কাণ্ডেও রাজ্যের শাসকদলের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে বিজেপি। মোদী-শাহের মস্তিষ্কপ্রসূত এই প্রতিনিধি দল হাঁসখালি ঘুরে, নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে একটি রিপোর্ট তৈরি করে জমা দেবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে। এতে স্বভাবতই চাপ বাড়বে শাসকদল তৃণমূলের উপর। কারণ হাঁসখালির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার ছেলে ধরা পড়েছে। কিন্তু নির্যাতিতার পরিবারকে ভয় দেখানো, শ্মশানে বিনা ডেথ সার্টিফিকেটে দেহ দাহ করা, প্রমাণ লোপাটের পিছনে তৃণমূলের বড় কোনও প্রভাবশালী নেতারা রয়েছে বলে মনে করছে বিজেপি।
আরও পড়ুন ‘বগটুই-হাঁসখালি- একের পর এক মায়ের কোল খালি! তবু হুঁশ নেই’, মমতাকে কটাক্ষ রুদ্রনীলের!
এদিকে, গতকালই হাঁসখালি গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছে রাজ্য বিজেপির পরিষদীয় দল। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে সেই দল যায় দুপুরের পর। শুভেন্দু হাঁসখালির ঘটনাকে দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করেছেন।