হাঁসখালিতে নাবালিকাকে ধর্ষণ কাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যে রাজ্যজুড়ে বিতর্কের ঝড়। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাল্টা দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার বাইরে মুখ্যমন্ত্রীকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন শুভেন্দু।
তিনি বললেন, "যাঁরা মুখ্যমন্ত্রীকে আনার জন্য ভোট দিয়েছেন তাঁরা বিচার করুন। যাঁরা তথাকথিত বাঙালি, তাঁরা এর বিচার করুন কাকে বসিয়েছেন। মুখের ভাষা কী! আমাদের বিধায়কদের বলেছিল, ল্যাংচা খেয়ে ল্যাংচাতে ল্যাংচাতে গিয়েছিল। একটা ভাল কোম্পানির ফিনাইল-ব্লিচিং দিয়ে এনার মুখটা পরিষ্কার করা উচিত।"
তিনি আরও বলেছেন, "হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে আমরা সম্পূর্ণরূপে আমরা মনে করি সম্প্রতি যা যা ঘটেছে তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর। প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ দাহ করে দেওয়া হয়েছে। এর থেকে বড় পাপ আর কিছু হতে পারে না। ওখানকার আমাদের বিধায়ক আশিস বিশ্বাস, পার্শ্ববর্তী এলাকার বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী তাঁরা যোগাযোগ রেখেছেন। মেয়েটির বাড়ির লোককে প্রত্যেকদিন হাঁসখালি থানার পুলিশ নিয়ে যাচ্ছে। সকাল ১০টি থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বসিয়ে রাখছে। যাতে মিডিয়ার সামনে মুখ খুলতে না পারে। রাজনৈতিক দলের লোকরা দেখা করতে না পারে। গোপন জবানবন্দি নেওয়ার নাম করে আজও নিয়ে গেছে।"
আরও পড়ুন ‘ছেলেটির সঙ্গে নাকি মেয়েটির লাভ অ্যাফেয়ার্স ছিল, ইজ ইট আ ফ্যাক্ট?’, হাঁসখালি নিয়ে বললেন মমতা
শুভেন্দু বলেছেন, আগামিকাল তিনি হাঁসখালিতে যাবেন। সেখানে গিয়ে নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন। তাঁরা যদি থানায় থাকেন তাহলে সেখানে গিয়ে দেখা করবেন। আগামিকাল, মঙ্গলবার বিকেল তিনটের সময় নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে বিজেপির পরিষদীয় দল।
এদিকে, সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টে হাঁসখালি কাণ্ডে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে সিবিআই তদন্তের দাবিতে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে শুভেন্দু বলেন, "যদি নির্যাতিতার পরিবার চায় সিবিআই তদন্ত তাহলে আমরা তাঁদের সবরকম সহযোগিতা করব মামলার বিষয়ে। আমরা মনে হয় সিবিআই চাওয়া উচিত।"
পাশাপাশি এদিন বিধানসভার বাইরে আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে বসে নিজের অফিস সামলালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমাকে যে নোটিস দেওয়া হয়েছে সেখানে লেখা আছে যে আমার ব্যক্তিগত কক্ষেও ঢুকতে পারব না। তাই যিনি সংবিধান বানিয়েছেন, তাঁর মূর্তির তলায় বসেই আমি কাজ সামলাব।’’