নিজের উইল প্রকাশ করলেন অনশনরত হার্দিক প্যাটেল। পতিদারদের সংরক্ষণের সমর্থনে গত ৯ দিন ধরে অনশন চালাচ্ছেন এই নেতা। রবিবার তিনি যে উইল প্রকাশ করেছেন, তাতে তাঁর সম্পত্তির একটি অংশ পাবের ২০১৫-য় পতিদার আন্দোলনে মৃত ১৪ জন আন্দোলনকারীর পরিবার।
সরকারি চাকরি ও শিক্ষায় এবং কৃষিঋণ মকুবে পতিদারদের সংরক্ষণের দাবিতে গত ২৪ অগাস্ট থেকে আমেদাবাদে নিজের বাড়িতে অনশনে বসেছেন হার্দিক।
হার্দিকের উইল প্রকাশ্যে এনেছেন তাঁর ঘনিষ্ঠ পতিদার আনামত আন্দোলন সমিতি-র নেতা মনোজ পানারা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে তিনি জানিয়েছেন, ‘‘হার্দিকের শারীরিকে অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হার্দিক হয়ত বাক ও চলৎশক্তি হারাতে পারেন। সে কারণেই নিজের উইল প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি।’’
আরও পড়ুন, শৃঙ্খলাকে স্বৈরতন্ত্র নামে ডাকা হচ্ছে: নরেন্দ্র মোদী
সরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসক রবিবার হার্দিক প্যাটেলকে পরীক্ষা করেন। তিনি হার্দিককে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
উইল অনুসারে, হার্দিকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা রয়েছে। তা থেকে ২০ হাজার টাকা তিনি তাঁর বাবা-মায়ের জন্য রেখে, বাকি টাকা তাঁর নিজের আদি গ্রাম বিরামগ্রামের এক গৌশালায় দান করতে চান। জীবন বিমা পলিসির টাকা, গাড়ি ও তাঁর প্রকাশিতব্য বই, ‘হু টুক মাই জব’ থেকে পাওয়া রয়্যালটির টাকার ১৫ শতাংশ নিজের বোনের জন্য, ১৫ শতাংশ নিজের পরিবারের জন্য রেখে, বাকি ৭০ শতাংশ টাকা তিনি ২০১৫ সালের সংরক্ষণ আন্দোলনে নিহত ১৪ জনের পরিবারের মধ্যে বণ্টন করতে চেয়েছেন। হার্দিক তাঁর উইলে মৃত্যুর পর চক্ষুদানের ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন।
হার্দিকের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ। রবিবার তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা হিন্দুস্থানি আওয়াম মোর্চার নেতা জিতন রাম মাঝি, গুজরাট বিধানসভার বিরোধী দলনেতা পরেশ ধানানি এবং এনসিপি নেতা জয়ন্ত বস্কে।
হার্দিকের অভিযোগ, তাঁর সমর্থকদের পুলিশ মারধোর করছে, এবং তাঁর সঙ্গে দেখা করতে দিচ্ছে না।