Advertisment

হরিয়ানায় কঠিন লড়াইয়ের মুখে বিজেপি, সরকার গঠনে আশাবাদী কংগ্রেস

ট্রেন্ড দেখার পরই গেরুয়া শিবিরে শুরু হয়ে গিয়েছে তত্‍‌পরতা। ইতিমধ্যেই পদ্ম শিবিরের প্রধানদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে ডেকে পাঠানো হয়েছে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরকে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

হরিয়ানার ৯০টি আসনে চলছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই

হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনের ফলে রীতিমতো অস্বস্তির মুখে ক্ষমতাসীন বিজেপি। রাজ্যের বিজেপি সরকারের ৭ ক্যাবিনেট মন্ত্রী, রাজ্য বিজেপির সভাপতি এবং বিধানসভার অধ্যক্ষ এ মুহূর্তে অনেকটা ভোটে পিছিয়ে পড়েছে নিজেদের কেন্দ্রে। ৯০ আসনের হরিয়ানায় বিজেপি এ মুহূর্তে এগিয়ে ৩৭টি আসনে, অন্যদিকে ২৮টি আসনে এগিয়ে থেকে ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে কংগ্রেস। ফলাফলের এই ট্রেন্ড দেখার পরই গেরুয়া শিবিরে শুরু হয়ে গিয়েছে বিশেষ তত্‍‌পরতা। ইতিমধ্যেই পদ্ম শিবিরের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় ডাকা হয়েছে হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খট্টরকে। ফরিদাবাদের সাংসদ কৃষ্ণপাল বলেছেন, নয়াদিল্লিতে পৌঁছেছেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী এবং দলের কেন্দ্রীয় নেতা মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে।

Advertisment

আরও পড়ুন- Live: মহারাষ্ট্রে ফের গেরুয়াঝড়! হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হরিয়ানায়

হরিয়ানায় বিজেপির এহেন ফলাফলের পর দলের দায়িত্ব ছাড়লেন হরিয়ানা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুভাষ বড়ালা। অন্যদিকে, হরিয়ানা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের এই ফলাফলের নিরিখে হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা সাংবাদিকদের বলেন, "হরিয়ানা বিজেপির বিপক্ষেই রায় দিয়েছে। সমস্ত বিরোধীদের একত্র হয়ে সরকার গড়ার ক্ষেত্রে কংগ্রেসকে সমর্থন করা উচিত।"

এদিকে, মহারাষ্ট্রে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি। কিন্তু সে রাজ্যেও কংগ্রেস-এনসিপির জোট ১০৩টি আসনে এগিয়ে থেকে 'আগাম শক্তিশালী বিরোধী শক্তি' হিসাবে মাথাচাড়া দিচ্ছে।

আরও পড়ুন- মহারাষ্ট্রের ভোটে শিবসেনার উত্থানে বিজেপির চাপ

তবে হরিয়ানার ফল ত্রিশঙ্কু হওয়ার দিকেই এগোচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। সেরকম কিছু হলে 'কিংমেকার' হয়ে উঠতে পারে জননায়ক জনতা পার্টির দুষ্মন্ত চৌটালা, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রথম তিন দফার গণনার পর দেখা যাচ্ছে বেশ কয়েকজন বিজেপির মন্ত্রী তাঁদের নির্বাচনী এলাকায় পিছিয়ে রয়েছেন। বিশেষত, হরিয়ানার বিজেপি রাজ্য প্রধান সুভাষ বড়ালা পিছিয়ে রয়েছেন ১০ হাজার ভোটে, রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অভিমন্যু পিছিয়ে রয়েছেন ৮ হাজার ভোটে, এবং ওপি ধানকড় পিছিয়ে রয়েছে ৭ হাজার ভোটে। বিজেপির কৃষাণ পানওয়ার এবং কবিতা জৈনও তাঁদের নিজেদের নির্বাচনী এলাকা ইসরানা এবং সোনিপথে পিছিয়ে রয়েছেন।

আরও পড়ুন- ‘মুসলিমদের অন্তর্ভুক্তি করলেই নাগরিকত্ব বিল সমর্থন করবেন মমতা’, বিস্ফোরক দাবি বিজেপি নেতার

অন্যদিকে, হিসার জেলার উচনা কল্যান নির্বাচনী এলাকায় প্রাথমিকভাবে ১০ হাজারেরও বেশি ভোটে বিজেপির প্রার্থী প্রেম লতার থেকে এগিয়ে রয়েছেন জেজেপির দুষ্মন্ত চৌটালা। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে এই বিধানসভা কেন্দ্রেই প্রেম লতার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন জননায়ক দলের প্রধান। উল্লেখ্য, প্রেম লতার পুত্র ব্রিজেন্দ্র সিং হিসার জেলার সাংসদ এবং স্বামী বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা উচনা কল্যাণ এলাকার চার বারের সাংসদ বীরেন্দ্র সিং। উল্লেখ্য, নির্বাচনের ফলের আগেই জেজেপি প্রধান দুষ্মন্ত চৌটালা জানিয়েছিলেন, এবারের নির্বাচনের ফলাফলে ত্রিশঙ্কু সরকার গঠিত হতে পারে। তিনি বলেছিলেন, “বিজেপি বা কংগ্রেসের কেউই ৪০টি আসন অতিক্রম করতে পারবে না। সেক্ষেত্রে হরিয়ানায় সরকার গঠনের চাবিকাঠি থাকবে জেজেপির হাতে।" অন্যদিকে, হরিয়ানার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা ভূপিন্দর সিং হুডা রোহতকে নিজের বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, "কংগ্রেসই নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।"

আরও পড়ুন- আমায় পছন্দ না হলে ভোট দেবেন না, কিন্তু স্থানীয় দলকে দিন: মমতা

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৪৭টি আসনে জয় লাভ করেছিল বিজেপি, কংগ্রেস পেয়েছিল ১৫টি আসন। পরবর্তীতে হরিয়ানার জনহিত কংগ্রেসের দুই বিধায়কও যোগ দেন। আইএনএলডি পায় ১৯টি আসন এবং বহুজন সমাজ পার্টি এবং শিরোমণি অকালী দল পায় একটি করে আসন।

Read the full story in English

Advertisment