কৃষক আন্দোলনের আবহে হরিয়ানা সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছিল কংগ্রেস। একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল হয়তো সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। কারণ প্রায় ১০০ দিন ধরে চলা কৃষক আন্দোলনের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে উত্তরের এই রাজ্যে। প্রধান শাসক বিজেপির প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছে শরিক দল জননায়ক জনতা পার্টি (জেজেপি)। সেই অসন্তোষ কাজে লাগাতেই বিধানসভায় অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করে কংগ্রেস। কিন্তু বুধবার বিধানসভায় পরাজিত হল সেই প্রস্তাব। ৯০ আসনের হরিয়ানা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৪৬ জন বিধায়কের সমর্থন প্রয়োজন। বর্তমানে ৮৮ জন বিধায়ক থাকায় তা কমে দাঁড়িয়েছিল ৪৫-এ। মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের সরকারের সমর্থনে ভোট দিয়েছেন ৫৫ জন বিধায়ক। বিজেপি-র ৩৯ জনের পাশাপাশি উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালাল দল জেজেপি-র ১০ এবং ৬ জন নির্দল বিধায়ক কংগ্রেসের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।
অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা ভূপেন্দ্র সিংহ হুডার আনা অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩২ জন বিধায়ক। কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদ জানিয়ে কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করা দুই জেজেপি বিধায়ক, রামকুমার গৌতম এবং দেবেন্দ্র বাবলিও বুধবার অনাস্থা প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন।
ভোটাভুটির ফল প্রকাশের পর খট্টর বলেন, ‘কৃষি আইন নিয়ে বিরোধীদের মিথ্যা প্রচারের মুখোশ খুলে গিয়েছে।’ কংগ্রেস জানত, তারা অনাস্থা পরমাণ করতে পারবে না। তাও প্রস্তাব এনেছিল। এমনটাই কটাক্ষ করেছেন খট্টর। অন্যদিকে হুডার মন্তব্য, ‘পরিষদীয় পাটিগণিতের হিসেবে সরকার জয়ী হয়েছে। কিন্তু আজ প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, কারা কৃষকদের পাশে রয়েছেন আর কারা কৃষক বিরোধী।’