Hathras-Bhole Baba: সমাজবাদী পার্টি প্রশ্ন তুলেছে, এই পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ধর্মগুরুর দোষটা কোথায়? (ছবি- এক্সপ্রেস)
Hathras Bhole Baba stampede: হাথরাসে 'ভোলে বাবা'র অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে বহু মানুষের মৃত্যুর পর, ওই ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছে উত্তরপ্রদেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলো। বিজেপি ঘটনায় 'ষড়যন্ত্র, রাজনৈতিক যোগসূত্র'-র অভিযোগ তুলেছে। দাবি করেছে, দলিতদের মধ্যে বাবার প্রভাব বেশ বেশি। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টি প্রশ্ন তুলেছে, এই পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় ধর্মগুরুর দোষটা কোথায়?
Advertisment
মামলায় ধর্মগুরুর নামই নেই
স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (SIT) ২ জুলাই হাথরাসে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত করেছে। তারাও ঘটনার পিছনে আদিত্যনাথের বলা, 'বড় ষড়যন্ত্র'র অভিযোগ উড়িয়ে দেয়নি। উলটে, ওই অনুষ্ঠানের জন্য স্থানীয়স্তরে সংগঠক, মহকুমাস্তরের পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকদের দোষী ঠাউরেছে। রিপোর্টে ধর্মগুরু সুরজপাল ওরফে নারায়ণ সাকার হরি, যাঁর সৎসঙ্গে পদদলিত হয়ে এতগুলো মানুষের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরই নাম রাখেনি পুলিশ। পুলিশি রিপোর্টে শুধুমাত্র জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুরজপালের মইনপুরী আশ্রমে একটি নোটিশ দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। যদিও সেই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ কোনও মন্তব্য করেননি।
Advertisment
ধর্মগুরুর রাজনৈতিক যোগাযোগ
স্বঘোষিত ধর্মগুরুর নাম পুলিশ কেন এই মামলায় যোগ করেনি, সেই প্রশ্ন উঠেছে। জবাবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ সাংবাদিকদের বলেছেন, 'কার সঙ্গে ওঁর ছবি আছে, কার সঙ্গে ওঁর রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে, সবাই জানে।' মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথের ইঙ্গিত ছিল, ধর্মগুরু সুরজপালের এক অনুষ্ঠানে সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদবের অংশগ্রহণের ভাইরাল ভিডিও।
UP Hathras Stampede: হাথরস জেলার সিকান্দারা রাও এলাকায় ওই ঘটনার একদিন পরে ঘটনাস্থলে স্থানীয় লোকজন। (ছবি- পিটিআই)
রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা কেমন ছিল?
উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রতিক লোকসভা নির্বাচন জাতপাতের আনুগত্যের পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিয়েছে। তাতে বিজেপি বড় ধাক্কা খেয়েছে। গেরুয়া শিবির গোটা ঘটনায় সুরজপাল বা 'ভোলে বাবা'র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। কারণ, তিনি দলিত ভক্তদের মধ্যে বেশি জনপ্রিয়। যদিও দলিতদের দল বলে পরিচিত বিএসপিও সুরজপালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছে। কংগ্রেসও প্রশ্ন তুলেছে, কেন সুরজপালকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি? তবে সমাজবাদী পার্টি গোটা ঘটনায় বেশ সতর্ক পন্থা অবলম্বন করেছে।
পদদলিত হয়ে ১২১ জনের মৃত্যু হওয়ার পরদিন হাথরাসে তাঁর সফরের সময়, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ঘটনায়, 'ষড়যন্ত্রের' অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেছেন যে, গোটা ঘটনায় আরও গভীর তদন্তের প্রয়োজন। আদিত্যনাথ এই ঘটনায় সুরজপালের নাম নেননি। তিনি মিডিয়াকে তাঁর বিবৃতি দেওয়ার সময় সুরজপালকে 'সজ্জন' বা ভদ্রলোক বলে উল্লেখ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ বলেছেন, ওই সজ্জন ব্যক্তি তাঁর ধর্মোপদেশ শেষ করার পরে এবং মঞ্চ থেকে নেমে বেরিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর অনুগামীরা পদধূলি সংগ্রহের চেষ্টা করছিলেন। তখনই তাঁরা হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হন।