Jharkhand Chief Minister: ঝাড়খণ্ডে রাজনৈতিক নাটক অব্যাহত। রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন এখনও জোটের বাছাই মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রাথী চম্পাই সোরেনকে সরকার গঠনের জন্য বলেননি। মুখ্যমন্ত্রীর শপথবাক্য পাঠ করাননি। ফলে, ঝাড়খণ্ডে জেএমএম-কংগ্রেস সরকার ফেলে দেওয়ার আশঙ্কা করছে শাসক জোট। এই আশঙ্কায় জোটের বিধায়কদের সুরক্ষিত রাখতে ৩৮ বিধায়ককে হায়দরাবাদে পাঠাচ্ছে জোট। শাসক দলের মাত্র পাঁচ জন বিধায়ক থেকে যাচ্ছেন ঝাড়খণ্ডে। এমনটাই প্রাথমিকভাবে চাউর করে দিয়েছে শাসক জোট।
- রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন এখনও চম্পাই সোরেনকে সরকার গড়তে ডাকেননি।
- গ্রেফতারের পরদিন হেমন্ত সোরেনকে পেশ করা হয় আদালতে।
- আদালতে ইডি হেমন্ত সোরেনের ১০ দিনের হেফাজত চেয়েছিল।
এর মধ্যেই ঝাড়খণ্ডে চলমান রাজনৈতিক সংকটের মধ্যে, রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণন বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জোট বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে সম্মত হয়েছিলেন। বিকাল সাড়ে ৫টায় বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করার সময় দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু, তিনি চম্পাই সোরেনক সরকার গঠনের অনুমতি দেননি। অথচ, বুধবার গভীর রাতেই, ঝাড়খণ্ডের পরিবহণমন্ত্রী এবং সদ্যপ্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের অনুগত চম্পাই সোরেন সরকার গঠনের দাবি জানিয়েছিলেন রাজ্যপালের কাছে। কিন্তু, রাজ্যপাল সময় চেয়েছিলেন। তিনি বৈধতা বিবেচনা করে তাঁদের জানাবেন বলে কথা দিয়েছিলেন।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল কোনও সিদ্ধান্ত না-নেওয়ায় শাসক জেএমএম-কংগ্রেস শিবির উদ্বেগে। হেমন্ত সোরেন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী এবং ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা (জেএমএম)-র প্রধান। বুধবার রাতে এক জমির মালিকানা সংক্রান্ত মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট সাত ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে সোরেনকে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ এবং পরবর্তীতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর গ্রেফতারের পরদিন বৃহস্পতিবার হেমন্ত সোরেনকে পেশ করা হয় আদালতে। বিচারক, হেমন্ত সোরেনকে আগামিকাল (২ ফেব্রুয়ারি) পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইডি আদালতে ১০ দিনের হেফাজত চেয়েছিল। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে পিএমএলএ আদালত পরবর্তী শুনানি ও আদেশের জন্য দিন হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেছে।
আরও পড়ুন- স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বিরাট পদক্ষেপ কেন্দ্রের, কী জানালেন সীতারামন?
ইডি একদিন আগে তাঁর (হেমন্ত সোরেন) দিল্লির বাসভবন থেকে ৩৬ লক্ষ টাকা নগদ এবং একটি বিলাসবহুল এসইউভি বাজেয়াপ্ত করেছিল। আইনি সংকট কাটাতে সরকারিভাবে গ্রেফতার হওয়ার আগেই, সোরেন রাজভবনে রাজ্যপাল সিপি রাধাকৃষ্ণনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএম, কংগ্রেস এবং আরজেডির ক্ষমতাসীন জোটের বিধায়ক সংখ্যা যথাক্রমে ২৯, ১৭ এবং ১। বিরোধী দলে রয়েছেন বিজেপির ২৬ বিধায়ক এবং এজেএসইউয়ের রয়েছেন তিন বিধায়ক। সিপিআই (এমএল) এবং এনসিপি (এপি)-এর একজন করে বিধায়ক আছে। এছাড়াও দু’জন নির্দল বিধায়ক রয়েছেন ঝাড়খণ্ড বিধানসভায়।