রাজ্যে বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা নিয়ে দলের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা সংক্রান্ত রাজ্যের আপত্তিকে খারিজ করে দিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। পাশাপাশি বৈঠকের দিন ও আদালতে আলোচনার বিষয়বস্তু জানানোর দিনও এক দিন করে বাড়িয়ে দিলেন বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
বিজেপির গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা হাইকোর্টের রায়ের ফলে স্থগিত রাখতে হয়েছে। এর আগে আদালত নির্দেশ দেয়, বিজেপির তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্য সরকারকে আলোচনায় বসতে হবে। রাজ্য সরকারের পক্ষে আলোচনায় বসার কথা রয়েছে মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলের। আলোচনার মাধ্যমে গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার কর্মসূচি নির্ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত, যাতে রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা জনিত কোনও সমস্যা না হয়।
কিন্তু বিজেপি তিনজন সদস্যের নাম রাজ্য সরকারকে জানালে দুজন সদস্যের নাম নিয়ে আপত্তি জানায় রাজ্য সরকার। সোমবার আদালতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান, মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদারের বিরুদ্ধে ফৌজদারী মামলা রয়েছে। তাই রাজ্য সরকার তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় না। কিন্তু সোমবার রাজ্যের আবেদন গ্রহণ করলেও আদালত জানিয়ে দিয়েছিল, রাজ্যের উচ্চপদস্থ আমলাদের বিরুদ্ধেও অনেক মামলা রয়েছে, তাতে কিছু প্রমাণ হয় না। এরপর মঙ্গলবার শুনানির দিন ধার্য করে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিন বিচারপতি সমাদ্দার ও মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের ওই আপত্তির কোনও মান্যতা দেয়নি। বরং দুই পক্ষের বৈঠক ও আদালতে জানানোর সময়সীমা একদিন করে বাড়়িয়ে দিয়েছে। আগে বৈঠক করার নির্দেশ ছিল ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে। এখন তা বেড়ে হয়েছে ১৩ ডিসেম্বর। অন্যদিকে ১৪ ডিসেম্বর আদালতে জানানোর কথা ছিল, তা বেড়ে হয়েছে ১৫ ডিসেম্বর।
তবে গতকালের পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলের পর অনেকটাই মনমরা রাজ্য বিজেপি। সেক্ষেত্রে গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রা সফল করতে মরিয়া হয়ে উঠতে বাধ্য গেরুয়া শিবির। কোচবিহারে ৭ ডিসেম্বর গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার সমস্ত প্রস্তুতি সম্পূর্ণ করে ফেলেছিল বিজেপি। হাজির ছিলেন রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিন্তু আদালতের রায়ের ফলে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সভা ও যাত্রার সূচনা কর্মসূচি বাতিল করতে হয়েছিল বিজেপিকে। এবার তাই অত্যন্ত সাবধানে পা ফেলতে চায় পদ্মশিবির।