হিমাচলের চরম রাজনৈতিক সংকটের মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দিয়েছেন। তিনি গতকালই পদত্যাগের সব জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘ আমি পদত্যাগ করিনি, লড়াই চালিয়ে যাব’। এবার ক্রস ভোটিং-এর জের, ৬ কংগ্রেস বিধায়কের উপর শাস্তির খাঁড়া। সাসপেণ্ড করা হয়েছে ৬ বিধায়কে। এই ৬ বিধায়ক হলেন, রাজিন্দর রানা, সুধীর শর্মা, ইন্দ্রদত্ত লখনপাল, রবি ঠাকুর, চৈতন্য শর্মা, দবিন্দর ভুট্টো।
হিমাচল প্রদেশে কংগ্রেস সরকারের স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও রাজ্যসভার আসন হাতছাড়া হয়। এরপরই রাজ্য জুড়ে তোলপাড় পড়ে যায়। সুখু সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই এই দাবিতে সরব হন বিজেপির জয়রাম ঠাকুর। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য ৬ বিদ্রোহী বিধায়কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে দল। বিধানসভার স্পিকার এই ছয় বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল করেছেন। হিমাচল বিধানসভার স্পিকার কুলদীপ পাঠানিয়া দলীয় হুইপ লঙ্ঘনের জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছেন এই ৬ বিধায়ককে । কংগ্রেস বিধায়ক এবং সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন চৌহান দলত্যাগ বিরোধী আইনের অধীনে ছয়জন বিধায়কের সদস্যপদ বাতিলের ঘোষণা করার স্পিকারের কাছে আবেদন করেছিলেন।
আরও পড়ুন : < Kamal Nath: ‘বিদায় জানাতে চাইলে আমি যেতে প্রস্তুত’, বিজেপি যোগ জল্পনার মাঝেই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য কমল নাথের >
সূত্রের খবর, হিমাচল বিধানসভার স্পিকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বিদ্রোহী বিধায়করা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন। বিধানসভার স্পিকার বলেন, আমি সবার কথা শুনেছি। হুইপ লঙ্ঘন করেছেন বিধায়করা। অবিলম্বে ৬ বিদ্রোহী বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজ্যের একমাত্র রাজ্যসভা আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি। বিজেপি প্রার্থী হর্ষ মহাজন সুপরিচিত কংগ্রেস মুখ অভিষেক মনু সিংভিকে পরাজিত করেছেন। যা কংগ্রেসের জন্য একটি বড় ধাক্কা। মঙ্গলবার ৬ কংগ্রেস বিধায়ক-সহ ৯ বিধায়কের ক্রস ভোটিংয়ের জেরেই রাজ্যের রাজনীতিতে কার্যত ঝড় উঠে। হিমাচলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরে সরাসরি দাবি করেছেন, ‘সুখবিন্দর সুখুর সরকার সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাতে চলেছে । ‘সরকার ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার হারিয়েছে’। চরম রাজনৈতিক উত্তেজনার মধ্যেই বিজেপির ১৫ বিধায়ককে সাসপেন্ড করেন বিধানসভার স্পিকার । এরপরই বিধানসভার কার্যক্রম মুলতবি করা হয়।