বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোট তাদের নাম বদলে করল ‘INDIA’। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিরোধী নেতারা। সেখানেই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী জোটের ‘INDIA’ নামকরণের কারণ ব্যাখ্যা করেন। তিনি জানান, তাঁদের এই লড়াই শুধুমাত্র বিজেপি দলের বিরুদ্ধে নয়। তাঁদের এই লড়াই দেশ বাঁচানোর লড়াই। এটা হল গোটা দেশের লড়াই। সেই হিসেবে এই জোট ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ডেভলপমেন্টাল ইনক্লুসিভ অ্যালায়েন্স-এর লড়াই।
সূত্রের খবর, এসব কথা মাথায় রেখেই রাহুল গান্ধী জোটের নাম বদলের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তিনি বাকি দলগুলোকে বুঝিয়েছেন যে, এই জোট গোটা দেশের জনগণের হয়ে বিজেপি তথা সংবিধান ধ্বংসের চেষ্টাকারী শাসকের বিরুদ্ধে লড়বে। সেই কারণেই জোটের নামকরণ করা হোক ইন্ডিয়া। সূত্রের খবর, বৈঠকে রাহুলের এই প্রস্তাব বেশ মনে ধরে বিরোধী নেতাদের। বৈঠকের পরও তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত রাহুল-বিরোধী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিতরাও কংগ্রেস নেতার সুখ্যাতি গেয়েছেন। রাহুল গান্ধীর প্রশংসা করেছেন।
জোটের এই নামকরণের পর অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মঙ্গলবার তার টুইটার বায়োতে 'ইন্ডিয়া' শব্দ বদলে রাখেন 'ভারত'। পাশাপাশি তিনি এক টুইট বার্তায় বলেন, 'ব্রিটিশরা আমাদের দেশের নাম রাখে ‘ইন্ডিয়া’। ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকার থেকে সকলের নিজেদের মুক্ত করার চেষ্টা করা উচিত। আমাদের পূর্বপুরুষরা ভারতের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করেছেন এবং আমরা ভারতের জন্য কাজ করে যাব”। অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইউপিএ ইন্ডিয়াতে পরিণত হওয়ার পর বিজেপি ভারত থেকে উদ্ভূত হয়েছে।
বেঙ্গালুরুতে দু’দিনের বিরোধী শিবিরের বৈঠকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে ১৬টি বিরোধী দলের নেতারা তাদের মহাজোটের জন্য বিরোধী ঐক্যের I.N.D.I.A-দেওয়ার কিছু সময়ের পরই শর্মা এই পদক্ষেপ নেন। বিরোধীদের মতে, নামের অর্থ হল: I – Indian, N – National, D – Developmental, I – Inclusive, A – Alliance।
হিমন্ত বিশ্ব শর্মা ‘ইন্ডিয়া’ শব্দ নিয়ে উপহাস করার পরে, কংগ্রেস নেতারাও আসরে নেমে পড়েন। মোদীর দেওয়া ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া, স্টার্ট আপ ইন্ডিয়া, স্কিল ইন্ডিয়া নাম নিয়ে বিজেপিকে ধুয়ে দেন কংগ্রেস প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়গে। পাশাপাশি শর্মাকে মোদীর মেন্টর বলেও খোঁচা দিয়েছেন।
বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের দু’ দিনের বৈঠকে ২৬টি বিরোধী দল অংশ নেয়। বেঙ্গালুরুর বৈঠকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ-র নাম পরিবর্তন করে ‘ইন্ডিয়া’ করা হয়। অন্যদিকে একই দিনে দিল্লিতে এনডিএ বৈঠকে, ৩৮টি দল একসঙ্গে লোকসভা নির্বাচন লড়াই করার জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে লড়াইয়ের অঙ্গীকার করে। এদিনের এই বৈঠক থেকে বিরোধীদের ‘ইন্ডিয়া’কে দূর্নীতিবাজদের দোকান বলেও কটাক্ষ করে মোদী।