জল্পনাই সত্যি হল। আসামের নয়া মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন হিমন্ত বিশ্বশর্মা। রবিবার আসামে বিজেপির পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচিত করা হয় তাঁকে। সর্বসম্মত ভাবে তাঁকেই দলনেতা নির্বাচন করেন নবনির্বাচিত বিধায়করা। হিমন্তকে মুখ্যমন্ত্রী করার কথা এদিন ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার। উল্লেখ্য, এদিনই রাজ্যপাল জগদীশ মুখীকে নিজের ইস্তফা পত্র দিয়েছেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল। এরপর তিনি টুইটে জানান, মানুষের আশীর্বাদে আমি আমার পদত্যাগ করছি আসামের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে। পদত্যাগপত্র রাজ্যপালকে জমা দিয়েছি।
বস্তুত, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা করেনি আসাম বিজেপি। তার পর থেকেই জল্পনা তৈরি হয় রাজনৈতিক মহলে। তুলনায় অনেক বেশি জনপ্রিয় কংগ্রেস থেকে আসা হিমন্ত বিশ্বশর্মা না কি সংঘ ঘনিষ্ঠ সোনওয়ালকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হবে তা নিয়ে একটা জল্পনা তৈরি হয়। নির্বাচনের আগে এ প্রসঙ্গে নিজেই জল্পনা তৈরি করেন হিমন্ত। দলকে চাপে রাখার কৌশল শুরু করেন তিনি।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদরে মতে, উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজনীতিতে হিমন্ত অনেক বেশি প্রভাবশালী নেতা। ওই অঞ্চলে বিজেপির প্রধান মুখের পাশাপাশি মুশকিল আসান নেতা হিসাবে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে। উত্তর-পূর্ব গণতান্ত্রিক জোটের আহ্বায়ক হিমন্ত। শনিবার সোনওয়াল ও হিমন্ত দুজনকেই দিল্লিতে তলব করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং দলের সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক বি এল সন্তোষ আলাদা আলাদা দুজনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসাবে এবং অর্থমন্ত্রী হিসাবে একাধিক জনকল্যাণ মূলক প্রকল্প রূপায়ণের জন্য হিমন্তের কাজকর্মের ভূয়সী প্রশংসা হয়েছে সবমহলে। তাই এবার অনেকেরই ধারণা হয়েছিল, তুলনায় বেশি জনপ্রিয় হিমন্তই বসতে চলেছেন আসামের মসনদে। রবিবার সেই ধারণাতেই সিলমোহর দিল বিজেপি।