দেশের ৯ রাজ্য আর ২,৫০০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে শনিবারই দিল্লি ছুঁয়েছে তাঁর ভারত-জোড়ো যাত্রা। আর দেশের রাজধানীতে পৌঁছে সরাসরি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সন্ধের জনসভায় লালকেল্লার সামনে থেকে রাহুলের অভিযোগ, মানুষের সমস্যা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে মোদী সরকার। জনগণের সমস্যা মেটাতে পারছে না কেন্দ্র। আর, তাই সমস্যা থেকে নজর ঘোরাতেই খেলছে সাম্প্রদায়িকতার তাস। মাথামুণ্ডু ছাড়াই শুধু হিন্দু-মুসলিম বিভেদ করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। যাতে দেশবাসীর নজর সেদিকেই থাকে। আর, দেশের নাগরিকরা সমস্যার কথা বলতে না-পারে। যে কথা অতীতে তিনি বারবার বলতে চেয়েছেন। নানাভাবে বলার চেষ্টা করেছেন। সেই কথাই ফের ঝাঁঝালো স্বরে তুলে রাহুলের অভিযোগ, 'এই কেন্দ্রীয় সরকার নরেন্দ্র মোদীর সরকার নয়। এই কেন্দ্রীয় সরকার অম্বানি-আদানিদের সরকার।'
সময় এগিয়েছে। তিন মাস আগে শুরু হওয়া রাহুলের নেতৃত্বাধীন ভারত-জোড়ো যাত্রা আরও পরিচিত পেয়েছে। আরও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। দেশের একের পর এক নেতা ও বুদ্ধিজীবী ভারত জোড়ার মিছিলে যোগ দিয়েছেন। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন দক্ষিণ তথা বলিউডের অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ কমল হাসান। তিনি শনিবার বিকেলে আইটিওর কাছে 'ভারত জোড়ো' যাত্রায় যোগ দিয়েছেন। কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী আগেও হেঁটেছেন এই মিছিলে। ফের শনিবার তাঁকে দেখা গেল হাঁটতে। সকালেই এই যাত্রায় যোগ দিয়েছিলেন সোনিয়া গান্ধীও।
আরও পড়ুন- ভারতকে জুড়তে গিয়ে টানা হাঁটাহাঁটিতে রোগা হয়েছেন, বেজায় খুশ রাহুলের সঙ্গীরা
দিল্লিতে প্রবেশের পর রাহুল শনিবার সকাল থেকেই ছিলেন আক্রমণাত্মক মেজাজে। তাঁর এই 'ভারত জোড়ো' যাত্রার উদ্দেশ্যে সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি তীব্র আক্রমণ করেন বিজেপি তথা সংঘ পরিবারকে। রাহুলের অভিযোগ, বিজেপি আর সংঘ পরিবার দেশজুড়ে ঘৃণা ছড়াচ্ছে। তাতে দেশ অন্তর থেকে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে। সেই ভেঙে যাওয়া দেশকে জুড়তেই তাঁর এই মিছিল। যার উদ্দেশ্য প্রকৃত হিন্দুস্তানকে তুলে ধরা। যে হিন্দুস্তানের বাসিন্দারা একে অপরকে সাহায্য করে। বিজেপি এবং আরএসএসের মত ঘৃণা ছড়ায় না। রাহুলের কথায়, 'এই যাত্রায় কোনও ঘৃণা নেই। মিছিলে হাঁটতে গিয়ে কেউ পড়ে গেলে সকলে তাঁকে সাহায্য করে, তুলে ধরে। এটাই আসল হিন্দুস্তান। এই হিন্দুস্তান আরএসএস এবং বিজেপির ঘৃণাভরা দেশ নয়।' দেশের যে লক্ষ লক্ষ বাসিন্দা তাঁর এই মিছিল সমর্থন করেছেন, বক্তব্যে তাঁদেরও ধন্যবাদ জানান প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।
Read full story in English