দিল্লি হিংসার জন্য কেন্দ্রকে দায়ী করে স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফা দাবি করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। একই সঙ্গে যথাযত পদক্ষেপ না করার জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালেরও সমালোচনা করেন তিনি।
সোনিয়া গান্ধী বলেন, 'গত ৭২ ঘন্টায় একজন কনস্টেবল সহ বেশ কয়েকজন জন প্রাণ হারিয়েছেন। গুলি সহ হিংসায় আক্রান্ত প্রায় কয়েকশ। দিল্লির রাস্তায় রাস্তায় হিংসার ছাপ। দিল্লির পুলিশ এখনও অকেজ হয়ে বসে রয়েছে। এই হিংসার জন্য কেন্দ্র এবং স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীই দায়ী। কেন্দ্রীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর অবিলম্বে ইস্তফা দাবি করছি।'
LIVE: Congress President Smt. Sonia Gandhi addresses media at AICC HQ on #DelhiViolence https://t.co/Q8HxHsqGE1
— Congress (@INCIndia) February 26, 2020
কেজরিওয়ালের সমালোচনা করে কংগ্রেসের অন্তবর্তীকালীন সভানেত্রী বলেন, 'হিংসার জন্য কেন্দ্রের মতই দায়ী দিল্লি সরকার। রাজধানীতে শান্তি বজায় রাখতে দিল্লি সরকারের কোনও সক্রিয় পদক্ষেপ নেই। যা অবাক করে দেওয়ার মত ঘটনা। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের সম্মিলিত ব্যর্থতার কারণেই রাজধানী শহরে চরম হিংসার পরিণতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।'
আরও পড়ুন: দিল্লি হিংসায় নিহত ২১, পুলিশকেই দায়ী করল আদালত
বুধবার দিল্লিতে দলের সদর দফতরে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে সবিস্তার আলোচনা হয়। কর্ম সমিতিতে সিদ্ধান্ত হয় যে, 'এটা দুই সরকারেরই সম্মিলিত ব্যর্থতা, যার ফলে রাজধানী শহরে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে।'
হিংসার পিছনে কেন্দ্রীয় সাসক দলের একাধিক নেতার উস্কানি দায়ী বলে জানান সোনিয়া গান্ধী। অনুরাগ ঠাকুর থেকে কপিল মিশ্র- সিএএ বিরোধী আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে নানা সময়ে 'বিদ্বেষমূলক' মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, 'দিল্লি ভোটের সময় বিজেপি নেতারা বহু ঘৃণ্য মন্তব্য করেছেন। তারই পরিণতি এই হিংসা।'
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে, সোনিয়া গান্ধী ছাড়াও ছিলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি, সাংসদ গুলাম নবি আজাদ, পি চিদাম্বরম, দলের সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।
দিল্লি হিংসা প্রসঙ্গে কংগ্রেসকে পাল্টা আক্রমণ করে বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেন, 'বিপদের সময়ও রাজনীতি করছে কংগ্রেস।'
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন