Advertisment

নজিরবিহীন! এক ফোনেই স্থগিত হুগলির জেলা কমিটি, শোরগোল তৃণমূলে

এক ফোনেই কমিটি ঘোষণা মাঝপথে বন্ধ করে দিয়ে চুঁচুড়ার দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান শ্রীরামপুরের সাংসদ। নজিরবিহীন এই ঘটনায় তোলপাড় রাজনৈতিক মহল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটি গঠনের পর থেকে শুভেন্দু অধিকারী অরাজনৈতিক কর্মসূচিতেই বেশি মন দিয়েছেন। ২৩ জুলাই রাজ্য কমিটির পর ৪ মাস পার হলেও এখনও সব জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। আবার জেলা কমিটি ঘোষণার হওয়ার পর থেকে বেশ কিছু জেলায় দলের গোষ্ঠীকলহ প্রকাশ্যে চলে এসেছে। অনেকে বিদ্রোহ ঘোষণাও করেছেন। এদিকে জেলা কমিটি ঘোষণার সময় এক শীর্ষ নেতার ফোন পেয়ে তালিকা পড়াই বন্ধ করে দিলেন 'জাঁদরেল' তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এক ফোনেই কমিটি ঘোষণা মাঝপথে বন্ধ করে দিয়ে চুঁচুড়ার দলীয় কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান শ্রীরামপুরের সাংসদ। নজিরবিহীন এই ঘটনায় তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। কেন এমন তা নিয়ে বহু প্রশ্ন উঠেছে।

Advertisment

হুগলিতে বিধানসভা ভিত্তিক জনসভা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। তবে অনেক ক্ষেত্রেই কর্মী-সমর্থকদের সেই ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। বৃহস্পতিবার চুঁচুড়ার ঘড়ির মোড়ে জনসভা করে তৃণমূল। জেলার শীর্ষ নেতৃত্বের অনেকেই সেই সভায় হাজির ছিলেন। দলের অন্দরেই প্রশ্ন ওঠে প্রতিদিনের ভিড়-ভাট্টার জায়গায় এমন সভা না করে কেন ময়দানে করা হল না? সভা থেকে সাংবাদিকদের ডেকে কোর কমিটির সদস্যদের নিয়ে জেলা ও ব্লক কমিটি ঘোষণা করার কথা জানায় তৃণমূল নেতৃত্ব। তারপরই ঘটে সেই নজিরবিহীন ঘটনা।

ঠিক কী ঘটেছে এদিন?

হুগলি জেলা কমিটির নাম ঘোষণা করছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘ নামের তালিকার কমিটির সবে জনা আট-দশের নাম পড়েছেন তিনি। তখনি তৃণমূল সাংসদের কাছে একজনের ফোন আসে, কমিটি ঘোষণা বন্ধ রাখতে বলা হয়। ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন বর্ষীয়াণ এই নেতা। চেয়ার ছেড়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। সেই ফোনে নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়ে দেন সাংসদ। কমিটির তালিকার কাগজ রেখে ফোন কেটে দিয়ে দলীয় অফিসে ছেড়ে বেরিয়ে যান। কমিটি ঘোষণা নিয়ে বিভিন্ন জেলায় তৃণমূলের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়েছে। কিন্তু এই প্রথম কোনও জেলার কমিটি ঘোষণা মাঝপথেই থমকে গেল। স্থগিত থেকে গেল জেলা ও ব্লক কমিটি ঘোষণা।

আরও পড়ুন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশে বসে ভোজন সেরেও আফশোস বিভীষণের

কেন এমন ঘটনা? এই মুহূর্তে হুগলিতে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে। একজন সভা ডাকলে আর এক নেতা সেখানে হাজির থাকছেন না। প্রকাশ্যে বিবৃতি দিয়ে ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার, বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল। জেলা নেতৃত্বের বিবাদ মেটাতে এর আগে শীর্ষ নেতৃত্বকে হস্তক্ষেপ করতে হয়েছিল। এবার তো ফোনের জেরেই কমিটি ঘোষণা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হলেন সাংসদ। সূত্রের খবর, কমিটিতে এমন কিছু নাম রয়েছে যা নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ পৌঁছেছে। সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে চাইছে দল। তাই আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে কমিটি ঘোষণা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

tmc west bengal politics All India Trinamool Congress
Advertisment