উত্তরপ্রদেশের সাম্প্রতিক উপনির্বাচনে ভালো ফল করায় আত্মবিশ্বাসী গেরুয়া শিবির। রবিবারই রামপুর এবং আজমগড় লোকসভা আসন দখল করেছে বিজেপি। দুটি কেন্দ্রই সমাজবাদী পার্টির ঘাঁটি ছিল। কিন্তু, দলের অন্যতম শীর্ষনেতা অমিত শাহের তত্ত্বাবধানে রীতিমতো অঙ্ক কষে এগিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। যার দৌলতে ফাটল ধরানো গিয়েছে মুসলিম-যাদব ভোটব্যাংকে। তার ফলে ওই দুই কেন্দ্র তাঁদের হাতে এসেছে বলে মনে করছেন বিজেপি নেতারা।
উত্তরপ্রদেশের বিজেপি নেতারা চান, দলিতের পাশাপাশি মুসলিম-যাদব ভোটব্যাংকে এই থাবা বসানোর প্রক্রিয়া চলতে থাকুক। যা গিয়ে কাজে দেবে মিশন ২০২৪-এ লোকসভা ভোটে। তার আগে এই উপনির্বাচনগুলো সেমিফাইনাল ছিল বলেই তাঁরা মনে করছেন। উপনির্বাচনের ফলাফল বলে দিচ্ছে, বিজেপি তার লক্ষ্যে সফল। সমাজবাদী পার্টির কাছে পরিষ্কার বার্তা পাঠানো গিয়েছে যে তাদের গড় আর সুরক্ষিত নয়।
বিজেপি নেতৃত্বের একথা বলার কারণ, রামপুরের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ের। আর, আজমগড়েও তাই। তাই মুসলিম ভোটাররা যেদিকে, এই দুই কেন্দ্রে জয় সেদিকেই। বিজেপি জয়ী হওয়ায়, দলের নেতাদের দাবি, মুসলিম ভোটারদেরও অনেকে তাঁদের ভোট দিয়েছেন। এই ব্যাপারে বিজেপির এক নেতার কথায়, 'রামপুর সমাজবাদী পার্টির বর্ষীয়ান নেতা আজম খানের ঘাঁটি। এখানে সমাজবাদী পার্টি দুর্বল প্রার্থী দিয়েছিল। তাতে বিজেপির সুবিধা হয়েছে। আর আজমগড়ে বহুজন সমাজ পার্টির উপস্থিতি দলিত-যাদব-মুসলিম ভোটে ভাগ বসিয়েছে। তাতে সুবিধা পেয়েছে বিজেপি।'
আরও পড়ুন- উদ্ধবের চিন্তা বাড়িয়ে মুম্বইয়ে ফিরছেন শিণ্ডে, দিল্লিতে ফড়নবিশ
মুলায়ম জমানায় দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা থাকলেও অখিলেশের জমানায় আজম খান সাইডলাইনে। আজম খান বিধানসভায় নির্বাচিত হওয়ায় রামপুরের সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তার ফলেই এখানে উপনির্বাচন হল। সম্প্রতি খান জামিনে ছাড়া পেয়েছেন। তিনি হুমকি দিয়েছিলেন, তাঁর অনুগামী অসীম রাজাকে অখিলেশ প্রার্থী না-করলে তিনি বিদ্রোহ করবেন। যদিও রাজা যথেষ্ট দুর্বল প্রার্থী বলেই সমাজবাদী পার্টির একাংশের দাবি ছিল। এর আগে আজম খান রামপুরে তাঁর পরিবারের কাউকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন। যদিও সেই দাবি মেনে নেননি অখিলেশ।
Read full story in English