''একসঙ্গে কয়েক ডজন বিধায়কের বিদ্রোহ ও তড়িঘড়ি তাঁদের রাজ্য ছেড়ে যাওয়ার ঘটনার আগেভাগে কোনও আঁচ পেলেন না?'' মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপর বেজায় ক্ষুব্ধ শরদ পওয়ার। রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালসে পাতিল তাঁরই দলের নেতা। শুধু তিনিই নন সংকট তৈরি হওয়ায় একইভাবে রাজ্যের এনসিপির প্রধান জয়ন্ত পাতিলের ভূমিকাতেও যারপরনাই হতাশ মারাঠা রাজনীতির চাণক্য।
মহারাষ্ট্রে মহা সংকট। সরকার বাঁচাতে মরিয়া উদ্ধব ঠাকরেরা। বিদ্রোহী শিন্ডে কয়েক ডজন বিধায়ক সঙ্গে নিয়ে বিজেপি শাসিত অসমে গিয়ে ঘাঁটি গেড়েছেন। প্রথম তাঁরা ছিলেন গুজরাতে, সেখান থেকে তাঁরা সটান চলে যান কমল শাসিত আরও এক রাজ্য অসমে। আপাতত সেখানেই রয়েছেন শিল্ডে ও তাঁর অনুগামী বিধায়করা। উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন আঘাড়ি জোট সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছেন শিন্ডেরা। কংগ্রেস-এনসিপি-র সঙ্গ ছেড়ে উদ্ধবকে ফের বিজেপির হাত ধরতে বার্তা দিয়েছেন বিদ্রোহী বিধায়ককদের পান্ডা 'শিন্ডে'।
এর আগে বহু রাজনৈতিক সংকট সামলেছেন পোড়খাওয়া শরদ পওয়ার। তীক্ষ্ণ রাজনৈতিক বিচক্ষণতার জেরেই মারাঠা রাজনীতির চাণক্য হয়ে উঠেছেন তিনি। তবে এহেন পওয়ারও এখন বেশ বিরক্ত দলেরই নেতাদের উপর। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বুধবার মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিলীপ ওয়ালসে পাতিল এবং রাজ্যে দলের প্রধান জয়ন্ত পাতিল পওয়ারের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে দেখা করতে গিয়েছিলেন। সেই সময়েই স্বরাষ্ট্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ দলের হাতে থাকলেও কেন এই অসন্তোষের আগাম খবর পাওয়া গেল না, তা নিয়ে দিলীপ ওয়ালসে পাতিলের উপর বেজায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন পওয়ার।
আরও পড়ুন- শর্তে অনড় শিন্ডে, পদত্যাগে নারাজ উদ্ধব বেরিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ছেড়ে
সূত্রটি বলেন, ''পাওয়ার ভীষণই বিরক্ত। তিনি তাঁর ক্ষোভের কথা দলের নেতাদের জানান। তিনি আশ্চর্য হয়েছিলেন কেন রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ সরকারকে সতর্ক করতে পারেনি। বিশেষ করে যখন মন্ত্রী সহ এত বিধায়ক একসঙ্গে চলে গেলেন।'' এদিকে, এপ্রসঙ্গে এক আধিকারিক জানান, সাধারণত যখন একজন আইন প্রণেতা যাঁর কাছে পুলিশের নিরাপত্তা বাহিনী থাকে তিনি অন্য রাজ্যে চলে যান, তখন সেই ব্যক্তির সঙ্গে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন ইউনিট (এসপিইউ) এটি সম্পর্কে সিনিয়র অফিসারদের জানাবেন বলেই আশা করা হয়।
আরও পড়ুন- ‘বিদ্রোহী’রা ব্যাখ্যা দিলেই পদ ছাড়বেন উদ্ধব, পাল্টা চাপ মুখ্যমন্ত্রীর
তিনি আরও বলেন, "যেহেতু নিরাপত্তা দেওয়া পুলিশ এসকর্টগুলি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যায়, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (SOP) অনুযায়ী, তাঁরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে জানাবেন যাতে অন্য রাজ্যে কোনও সমস্যা না হয়। এটাই স্বাভাবিক একটি রীতি।" তবে এক্ষেত্রে এই রীতিগুলি মানা হয়েছিল কিনা তা স্পষ্ট করেননি তিনি।