মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে যখন সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যখন নেমেছে তৃণমূল, সেই সময় নাগরিকপঞ্জি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থনে বিজেপির মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ায়। মঙ্গলবার হাওড়ায় বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বেধে যায়।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরক বৈশাখী: ‘শোভনের জন্যই আমাকে সরানো হল! ও আমার ক্ষমতার স্তম্ভ’
ঠিক কী হয়েছে হাওড়ায় বিজেপির মিছিলে?
মঙ্গলবার দুপুরে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন এবং নাগরিকপঞ্জির সমর্থনে হাওড়ার পথে নামে বিজেপি। এই মিছিলের নেতৃত্ব দেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, সঞ্জয় সিং, বিজেপির জেলা সদরের সভাপতি সুরজিৎ সাহা। হাওড়া জেলা সদর কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল শুরু হয়ে দেশপ্রাণ শ্বাসমল রোড ধরে পাওয়ার হাউস মোড়ে আসামাত্রই ব্যারিকেড করে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। এরপরেই পুলিশের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরক বৈশাখী: ‘শোভনের জন্যই আমাকে সরানো হল! ও আমার ক্ষমতার স্তম্ভ’
এরপর পুলিশ বিজেপি কর্মীদের রাস্তা থেকে তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের ব্যাপক ধস্তাধস্তি শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েকজন বিজেপি সমর্থককে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষুদ্ধ বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পুলিশ-প্রশাসন এখন টেবিলের তলায় ঢুকে গিয়েছে। বাসে আগুন জ্বালানো হচ্ছে, ট্রেনে ভাঙচুর করছে, আগুন জ্বালাচ্ছে, স্টেশন ভাঙচুর করছে, সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করছে, জ্বালিয়ে দিচ্ছে। শুধু তাই নয় মানুষের উপর প্রাণঘাতী হামলা হচ্ছে, পুলিশ তখন নীরব দর্শক। আর আমরা যখন শান্তিপূর্ণভাবে মিছিল করছি আমাদের পুলিশ আটকাচ্ছে। এ কোথাকার গণতন্ত্র? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া কেউ মিছিল, আন্দোলন করতে পারবে না বাংলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষকে ভুল বুঝিয়ে যাবে, সেটা মানুষকে মেনে নিতে হবে? ভারতীয় জনতা পার্টি তা মেনে নেবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে নোংরা রাজনীতি করছেন, বাংলাকে ভাগ করার চক্রান্ত করছেন তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলন করবে বিজেপি ।"
কিন্ত কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পথে নামার পর মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি? সাংবাদিকদেরপ্রশ্নের উত্তরে রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে যা অশান্ত অবস্থা ছিল, এই অশান্ত অবস্থায় রাজনৈতিক দল পথে নামলে যা কিছু হতে পারত। তার জন্য স্বাভাবিকভাবে আমাদের ওপর দোষ চাপান হত। আমরা ধৈর্য ধরেছিলাম। কিন্তু ধৈর্যের একটা সীমা আছে। বর্তমানে যা পরিস্থিতি তাতে মানুষের কথা ভেবে আমরা আজ পথে নেমেছি।"