প্রতিষ্ঠা দিবসেও হাওড়ায় তৃণমূলের কোন্দল বিতর্ক জারি রইল।
এদিন দলের হাওড়ার কদমতলার জেলা সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয় দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের মূল অনুষ্ঠান।৷ অনুষ্ঠানে রাজের সমবায় মন্ত্রী অরূপ রায় উপস্থিত থাকলেও সেই অনুষ্ঠানে কিন্তু গরহাজির ছিলেন তৃণমূলের সদর সভাপতি লক্ষীরতন শুক্লা। দেখা মিলল না দলের কোর্ডিনেটর তথা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দোপাধ্যায়ের। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের মুল অনুষ্ঠানে জেলার দুই মন্ত্রী তথা হেভিওয়েট নেতার অনুপস্থিতি অন্য চোখেই দেখছে রাজনৈতিক মহল।
কয়েক মাস ধরে রাজ্যের দুই মন্ত্রী তথা হাওড়ার হেভিওয়েট নেতা অরূপ রায় এবং রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে চলছে চাপানউতোর। সম্প্রতি একাধিক অনুষ্ঠানে তাঁদের দুজনকে একসঙ্গে উপস্থিত হতে দেখতে পাওয়া যায়নি। এরই মধ্যে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। দলীয় নেতৃত্বের প্রতি রাজীবের ক্ষোভ প্রকাশ্যেই ধরা পড়েছে। তবে বিতর্ক আর বাড়াননি তিনি। তারই মধ্যে এদিন প্রতিষ্ঠা দিবসে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং লক্ষ্মীরতন শুক্লার উপস্থিতি না থাকা উষ্কে দিচ্ছে বিতর্ক।
এই প্রসঙ্গে, তৃণমূলের সদর চেয়ারম্যান অরূপ রায় বলেন, "কে বা কারা আসেন নি জানি না। তবে আসা উচিত ছিল। প্রথম থেকে দল করে আসা তৃণমূল কর্মীরা সবাই এসেছে। যারা আসেননি তাদেরকে আসার জন্য অনুরোধ করব"।
অন্যদিকে এদিন জেলা নেতৃত্বের এমন ধরনের মনোভাবের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূণ বন্দোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "প্রতিষ্ঠা দিবসে এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। দলীয় কর্মীরা দ্বিধা দ্বন্দে ভুগছেন। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, "আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি জেলার তিন নেতা তিনদিকে আলাদা আলাদা কেন র্যালি করছে? আমার খুব মন খারাপ, আমি খুব শকড"। এই ঘটনার পর তিনি জানিয়েছেন , এইভাবে চললে হাওড়ার ১৬টা আসন ধরে রাখা সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। দলীয় হোর্ডিং নিয়েও এদিন তিনি ক্ষোভ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে দল না থাকলে লালবাতি নিলবাতি পাব না এই বার্তাও দিলেন দলীয় নেতৃত্বকে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন