পুনর্জন্ম পেতে অথবা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ব্যায়ামের পরামর্শ দিলেন মন্ত্রী

"কেঁদে ওঠাই শিশুদের ব্যায়াম। প্রকৃতির প্রথম পাঠই হল ব্যায়াম। আপনারা যদি স্বাস্থ্য চান, সুখ চান, তাহলে ব্যায়াম করুন। আপনারা যদি ফের মানবজন্ম চান, তাহলে ব্যায়াম করুন।"

"কেঁদে ওঠাই শিশুদের ব্যায়াম। প্রকৃতির প্রথম পাঠই হল ব্যায়াম। আপনারা যদি স্বাস্থ্য চান, সুখ চান, তাহলে ব্যায়াম করুন। আপনারা যদি ফের মানবজন্ম চান, তাহলে ব্যায়াম করুন।"

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ব্যায়াম না করলে পুনর্জন্ম নিয়ে সংশয় (ফাইল ফোটো)

‘‘প্যয়ের গরম, পেট নরম, শির ঠান্ডা, আয়ে বিমারি, তো দিখাও ডান্ডা’’।

Advertisment

কোনও সাধু মহারাজ নয়, এ উক্তি দেশের মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীর। শুক্রবার ত্রিপুরায় আগরতলায় ন্যাশনাল ইনস্টিট্যুট অফ টেকনোলজির এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি। তাঁর প্রতিপাদ্য, শরীরের যত্ন নিতে হবে সর্বাগ্রে।

সত্যপাল সিং তাঁর বক্তব্যে বলেছেন, প্রকৃতির প্রথম শিক্ষা হল ব্যায়াম এবং পৃথিবীর সবচেয়ে দুর্মূল্য উপহার হল মানবশরীর।

আরও পড়ুন, ২০১৯-এর লোকসভা নিবার্চনে প্রার্থী হচ্ছেন না মাধুরী

Advertisment

মন্ত্রী বলেন, ‘‘ঈশ্বর আপনাদের মানবশরীর দিয়েছেন। এ পৃথিবীর সবচেয়ে দামি উপহার। আপনাদের উচিত তার যত্ন নেওয়া। ঈশ্বর যদি জানেন, তাঁর দেওয়া অমূল্য উপহারের আপনি অযত্ন করেছেন, তাহলে তিনি আর আপনাকে এ সম্পদ নাও দিতে পারেন। সেজন্যই প্রত্যেক মানবের উচিত তার নিজের শরীরের যত্ন নেওয়া।’’

কীভাবে শরীরের যত্ন নিতে হবে, সে কথা শেখাতে গিয়ে সত্যপাল সিং ‘‘প্যয়ের গরম...’’ উল্লেখ করেন।এর অর্থও ব্যাখ্যা করে দিয়েছেন মন্ত্রী।

তিনি বলেছেন, ‘‘প্যয়ের গরম মানে ব্যায়াম, পেট নরম মানে কোষ্ঠকাঠিন্য হতে দেওয়া যাবে না, এবং শির ঠান্ডা মানে দুশ্চিন্তামুক্ত মন। এ ছাড়া আপনারা পড়াশোনাও করতে পারবেন না, শিক্ষকতাও করতে পারবেন না।’’

সদ্যোজাত শিশুর কেঁদে ওঠার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মন্ত্রী। তাঁর মতে, এও একরকমের ব্যায়াম। ‘‘ছোট বাচ্চারা জন্মানোর পরেই চিৎকার করে কাঁদে। ওই কেঁদে ওঠাই শিশুদের ব্যায়াম। প্রকৃতির প্রথম পাঠই হল ব্যায়াম। আপনারা যদি স্বাস্থ্য চান, সুখ চান, তাহলে ব্যায়াম করুন। আপনারা যদি ফের মানবজন্ম চান, তাহলে ব্যায়াম করুন।"

সত্যপাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সকলের জন্য উন্নয়ন ও কল্যাণের বন্দোবস্ত করেছেন। সারা দেশের মানুষ যে দ্বিতীয়বারের জন্য মোদীকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান, সে কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। ‘‘গ্রামোন্নয়ন, কৃষিকল্যাণ, পরিকাঠামো উন্নয়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণে গত চার বছরে যা কাজ হয়েছে, স্বাধীনতার পর থেকে এখনও পর্যন্ত তত কাজ হয়নি।’’