তিনি কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের জন্য সভানেত্রীর দায়িত্ব পালনে রাজি। দলের সভাপতি পদের বদলের জল্পনায় জল ঢেলে কর্মসমিতির বৈঠকে সাফ জানিয়ে দিলেন সনিয়া গান্ধী। তাঁর এই ঘোষণা দলের বিক্ষুব্ধ জি-২৩ নেতৃত্বের প্রতি কঠোর বার্তা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
কর্মসমিতির বৈঠকে এদিন শুরুতেই সনিয়া গান্ধী বলেন, 'আপনারা অনুমতি দিলে, আমি কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের সভানেত্রী হতে পারি। আমি বরাবরই গণতান্তিক পরিবেশে উপর ভরসা করেছি। তাই সংবাদমাধ্যমের বিবৃতির মাধ্যমে আমার সঙ্গে কথা বলার কী প্রয়োজন? আসুন সবাই মিলে খোলামেলা আলোচনা করি। যা সিদ্ধান্ত হবে তা এি চার দেওয়ালের বাইরে কর্মসমিতির সিদ্ধান্ত বলেই বিবেচিত হবে।'
বছর দুই আগে লোলসভায় দলের পরাজয়ের দায় স্বীকার করে রাহুল গান্ধী কংগ্রেস সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তার পর পরই হাল ধরতে দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সনিয়া। কিন্তু বিভিন্ন রাজ্যে বিপর্যয়ের পর দলের সাংগঠনিক সংস্তার ও পূর্ণ সময়ের সভাপতির জন্য দাবি ওঠে কংগ্রেসের অভ্যন্তরেই। দলের বিক্ষুব্ধ এই নেতারা জি-২৩ বলে পরিচিত।
আরও পড়ুন- বাংলাদেশে ইস্কন মন্দিরে দুষ্কৃতী হামলা, ‘সুবিচার’ চেয়ে পথে সংখ্যালঘুরা
সনিয়া আগে জানিয়েছিলেন, কর্মসমিতির বৈঠকে সাংগঠনিক নির্বাচন ও নেতৃত্বের বদল নিয়ে আলোচনা হবে। শেষ পর্যন্ত সনিয়া নিজেই জানালেন যে, তিনিই কংগ্রেসের পূর্ণ সময়ের জন্য সভানেত্রীর দায়িত্ব পালনে রাজি।
তবে শনিবার গুরুত্বপূর্ণ কার্যকরী সমিতির বৈঠকের আগে জি-২৩ গোষ্ঠীর নেতারাও তড়িঘড়ি সাংগঠনিক নির্বাচনের পক্ষে ছিলেন না। আসন্ন পাঁচ রাজ্যের ভোটকেই পাখির চোখ করে দল যাতে এগোয় সেই বার্তা দিয়েছিলেন।
কর্মসমিতির বৈঠকে এদিন সনিয়া বলেছেন, 'দেশের স্বার্থজড়িত এমন কোনও ইস্যুতে আন্দোলন থেকে কংগ্রেস পিছপা হয়নি। রাহুল ও মনমোহন সিংজির সঙ্গে আমি প্রায়ই সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। সমভাবাপন্ন বিভিন্ন দলের সঙ্গেও জাতীয় স্বার্থবাহী নানা ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। এখন একমাত্র লক্ষ্য দেশ থেকে বিজেপি সরকারকে উৎখাত।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন