দলীয় নেতৃত্বের আচরণে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ ব্যাক্ত করেছিলেন। তারপরই দলীয় সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মানভঞ্জনে উদ্যোগী হয় তৃণমূল নেতৃত্ব। হাওড়ার সাংসদের সঙ্গে বৈঠক করেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাতেই কাজ হল ম্যাজিকের মত। শেষ পর্যন্ত তৃণমূলেই রয়েছেন বলে জানিয়ে দেন প্রসূন। সঙ্গে ভূয়সী প্রশাংসায় ভরিয়ে দেন অভিষেককে। স্বস্তিতে ঘাস-ফুল শিবির।
সম্প্রতি দলের হাওড়া নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দল পরিচালনা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, দলের চেয়ারম্যান, সভাপতি বা কো-অর্ডিনেটররা যখন কোনও সিদ্ধান্ত নেন, সেগুলো তাঁকে জানানো হয় না। এমনকী এসএমএস করেও জানানোর প্রয়োজন বোধ করেন না নেতৃত্ব। যা তাঁর কাছে অত্যন্ত খুব দুঃখের। যদিও নিজেকে 'বেসুরো' বলতে রাজি ছিলেন না তিনি। উল্টে ভোটের আগে দলকে পোক্ত করতেই তাঁর এই অভিযোগ বলে দাবি করেন হাওড়ার তৃণমূল সাংসদ।
এরপরই সোমবার বিকেলে দলীয় মুখপাত্র কুণাল ঘোষের সঙ্গে ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে যান প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। দীর্ঘক্ষণতাঁদের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে প্রসূনবাবু বলেন, 'অভিষেকের সঙ্গে খুবই ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। আমার সমস্ত অভাব-অভিযোগ শুনে সমস্যা সমাধানের আশ্বাসও দিয়েছেন অভিষেক। আমি তৃণমূলেই আছি।'
ইতিমধ্যেই ক্ষোভ উগরে সংবাদ শিরোনামে মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর তৃণমূল ত্যাগ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। অন্যদিকে, দলীয় পদ ও মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন হাওড়া উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা। 'বেসুরো' বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়াও। ঘাস-ফুল শিবিরের 'বিক্ষুব্দ'দের প্রতি বার্তা দিয়ে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমার মতো কারও যদি দলের প্রতি কোনও ক্ষোভ থেকে থাকে তাহলে বলব অভিমানে দূরেচলে না গিয়ে দলে থেকে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করতে। এখন আমাদের সবাইকে বিজেপির বিরুদ্ধে একযোগে লড়াই করতে হবে।'
গত সপ্তাহেই ফেসবুকে দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। পরে তাঁর মানভঞ্জনে শতাব্দীর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক করেন। তারপরই তৃণমূলে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা জানান বীরভূমের সাংসদ। তিনিও জোটবদ্ধ হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা দিয়েছেন।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন