রাজনৈতিক মঞ্চ ভেঙে অভিষেকের আগেই স্বেচ্ছাবসরে রজনীকান্ত। গত সপ্তাহে চিকিৎসা চেন্নাই ফেরেন থালাইভা। বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান অনুরাগীরা। তারপরেই রবিবার তাঁর রাজনৈতিক মঞ্চ রজনি মাক্কাল মন্দ্রমের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেন রজনীকান্ত। আর সোমবার রাজনীতি থেকে স্বেচ্ছাবসর ঘোষণা করেন। বিলুপ্ত করা হয় রজনী মাক্কাল মন্দ্রম। আগামী দিনে রজনী রসিগার নারপানি মন্দ্রম নামে একটি মঞ্চ জনকল্যাণ কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখবে। এমনটাই থালাইভা অনুগামী সূত্রে খবর।
এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি জারি করেছেন রজনীকান্ত। সেই বিবৃতিতে উল্লেখ, ‘রাজনীতিতে প্রবেশের উদ্দেশে রজনী রসিগার নারপানি মন্দ্রমকে, রজনী মাক্কাল মন্দ্রমে পরিণত করেছিলাম। একাধিক পদাধিকারী নিয়োগ করেছিলাম। কিন্তু বিশেষ কারণে আমরা লক্ষে পৌঁছতে পারিনি। অদূর ভবিষ্যতে আমার রাজনীতিতে প্রবেশের কোনও পরিকল্পনা নেই। তাই রজনী মাক্কাল মন্দ্রমকে বিলুপ্ত করে আগের মতোই রজনী রসিগার নারপানি মন্দ্রম চালু থাকবে। জনকল্যাণমূলক কাজে নিযুক্ত থাকবে এই মঞ্চ।‘
এদিন তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে চেন্নাইয়ের পয়েজ গার্ডেন বাসভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। এমনকি, গত কয়েক মাসে মাক্কাল মন্দ্রমের কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেননি থালাইভা। এই বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করে তিনি জানান, ‘শ্যুটিং, লকডাউন, মহামারী, নির্বাচন সব মিলিয়ে সময় প্রতিকূল থাকায় কোনও সাক্ষাৎ হয়নি। ভোটের পর শারীরিক পরীক্ষার জন্য ইউএস যেতে হয়েছিল তাই রাজনৈতিক মঞ্চের কোনও বৈঠকেই যোগ দিতে পারেননি রজনীকান্ত।‘