কেউ বলছেন বিরাট আত্মত্যাগ, আবার কেউ বলছেন আঙুর ফল টক! উদ্ধব সরকারের পতনের পর সবাই ভেবেছিলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিশই ফের মহারাষ্ট্রের মসনদে বসবেন। কিন্তু দেখা গেল, দেবেন্দ্র নিজে কুর্সিতে না বসে বিদ্রোহী একনাথ শিণ্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করলেন। পরে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের অনুরোধে ডেপুটি হতে রাজি হন। এতেই নাকি ফড়ণবিশ গেরুয়া হাইকম্যান্ডের উপর ক্ষুব্ধ। তাঁর চোখেমুখে নাখুশির ছাপ, যা নিয়ে শরদ পওয়ারও মন্তব্য করেছেন। তবে সত্যিটা কী তা নিজেই খোলসা করলেন ফড়ণবিশ।
মঙ্গলবার নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নাগপুরে একটি বিরাট মিছিল করেন ফড়ণবিশ। সেখানেই তিনি বলেন, শিণ্ডের নাম তিনিই প্রস্তাব করেন। নাগপুর এয়ারপোর্ট থেকে নিজের বাড়ি ধরমপীঠ পর্যন্ত ১০ কিমি দীর্ঘ মিছিলের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ফড়ণবিশ। তিনি বলেন, "শিণ্ডের নাম মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য আমিই দলকে বলি। দল তাতে রাজি হয়।" অনেকেই বলছেন, বিজেপির রণকৌশলের জন্য শিণ্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী মেনে নিতে বাধ্য হয়েছেন ফড়ণবিশ। তাই এদিন নেপথ্য কাহিনী সামনে আনলেন ফড়ণবিশ।
তিনি আরও বলেছেন, "আমি মানসিক ভাবে প্রস্তুত ছিলাম শিণ্ডে সরকারকে বাইরে থেকে সমর্থন দিতে। কিন্তু সেদিন শিণ্ডের নাম ঘোষণা করার পর আমি বাড়ি ফিরতেই নাড্ডাজি এবং অমিত শাহজি আমাকে ফোন করেন। আমাকে বলেন, তুমি বাইরে থেকে সমর্থন দিয়ে সরকার চালাতে পারবে না। তোমাকে সরকারের অংশ হতে হবে। তখন আমি আমার সিদ্ধান্ত পাল্টাই আর ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি হই।"
আরও পড়ুন ‘ভিলেন’ বৃষ্টি আর যানজট, ভোট দিতে পারলেন না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী-সহ ১১ জন কংগ্রেস বিধায়ক
শিণ্ডেকে নিয়ে ফড়ণবিশের বক্তব্য, "আমি সম্পূর্ণভাবে শিণ্ডেকে সমর্থন করছি। তাঁর প্রতিভা রয়েছে, উনি সফল হবেনই। আমি তাঁকে যথাযথ ভাবে সাহায্য করব। আমরা দুজনে মিলে মহারাষ্ট্রকে আবার এক নম্বর রাজ্য বানাব।" ফড়ণবিশ আরও বলেছেন, "আমি ডেপুটি মুখ্যমন্ত্রী হতে রাজি হয়েছি প্রধানমন্ত্রী মোদীজি এবং শাহজির সঙ্গে কথা বলার পর। যদি হাইকম্যান্ড আমাকে ঘরে বসত বলত, আমি তাহলে সেটাই করতাম।"