মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি দখল নিয়ে ক্রমশই জটিল হচ্ছে মহারাষ্ট্রের রাজনীতি। এদিন মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য শিবসেনার ৫০-৫০ ফর্মুলাকে কার্যত 'বাতিল' করে দেবেন্দ্র ফড়নবীশ বলেন, আগামী পাঁচ বছরের জন্য মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে তিনিই থাকতে চলেছেন। সংবাদসংস্থা পিটিআইকে এমনটাই জানিয়েছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
মুম্বইয়ে নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ফড়নবীশ বলেন, বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক আলোচনার সময় আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি শিবসেনাকে। তিনি বলেন, "লোকসভা নির্বাচনের আগে আনুষ্ঠানিকভাবে জোট করা হলেও সেখানে আড়াই বছর মুখ্যমন্ত্রী পদ দেওয়ার কোনও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়নি শিবসেনাকে।" তবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট শিবসেনা যে আগামী পাঁচ বছরের জন্য মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিশ্চিত করবে, সে ব্যাপারে নিশ্চিত দেবেন্দ্র ফড়নবীশ।
আরও পড়ুন- বঙ্গ বিজেপিতে বড় ভাঙন? মমতার বাড়িতে শোভন-বৈশাখী!
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই মহারাষ্ট্রে অব্যাহত বিজেপি-শিবসেনা তরজা। শনিবার শিবসেনা বিধায়কদের বৈঠকেও কাটল না সেই জট। গতকাল উদ্ধব ঠাকরে নিজের বাসভবন ‘মাতশ্রী’তে বিধায়কদের জরুরি তলব করেছিলেন। সেখানেই ঠিক হয় রাজ্যের ৫০-৫০ ফর্মুলায় মুখ্যমন্ত্রী পদ আড়াই বছর করে ভাগ করে নেবে বিজেপি ও সেনা।
উল্লেখ্য, ২৮৮ আসনের মহারাষ্ট্র বিধানসভা ভোটে জোট বেঁধে লড়াই করেছে বিজেপি-শিবসেনা। যার মধ্যে ১৫০টি আসনে লড়ে ১০৫টি আসন পেয়েছে বিজেপি। শিবসেনার দখলে ৫৬টি আসন, যেখানে সরকার গঠনে প্রয়োজন ১৪৫। ফলে জোট ছাড়া কোনওভাবেই সরকার গড়তে পারবে না বিজেপি। আর সেই সুযোই ভোটের পর কাজে লাগাতে মরিয়া শিবসেনা। তবে সেই ভাবনায় জল ঢেলে মঙ্গলবার ফড়নবীশ বলেন, "বুধবার বিজেপির তরফে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। যেখানে বিধানসভার বিধায়ক নির্বাচন হবে। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ইতিমধ্যেই নাম ঘোষণা করে দিয়েছেন। বৈঠকটি নেহাতই আনুষ্ঠানিক।"
আরও পড়ুন- বাংলায় উপনির্বাচনে প্রার্থী খুঁজতে নাজেহাল পদ্ম শিবির
মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন যে ফড়নবীশ জোট সরকারের নেতৃত্ব দেবেন। গত সপ্তাহেই শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে বিজেপিকে ৫০-৫০ ফর্মুলা ভাগাভাগির সূত্র মনে করিয়ে দিয়ে বলেছিলেন, "অমিত শাহকে আসতে হবে। রাজ্য নেতাদের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন না। জোট হয়েছিল ৫০-৫০ ক্ষমতার বণ্টনের ভিত্তিতে। সেই কথা রাখার সময় এসে গিয়েছে। আলোচনার পর মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।" শুক্রবার শিবসেনার মুখপত্র ‘সামনা’তেও দেবেন্দ্র ফড়নবীশকে নাম না করে খোঁচা দিয়ে 'দাম্ভিক'ও বলা হয়েছে।
Read the full story in English