১৫ জন আইএএস অফিসারের সাম্প্রতিক বদলি থেকে শুরু করে বিজেপি সরকারের সিনিয়র মন্ত্রীদের উপস্থিতিতে রাজ্যে সুশাসন নিশ্চিত করতে শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনে নেতৃত্ব দেওয়া…! মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মোহন যাদব ধীরে ধীরে রাজ্যে সরকারকে নতুন ভাবে সাজানো শুরু করেছেন।
এক সিনিয়ার কর্মকর্তা বলেছেন, 'নতুন সরকারের সকলে যাতে একসঙ্গে কাজ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতেই এই শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন। আগের শিবরাজ সিং চৌহানের আমলে এমনটা হয়নি। মধ্যপ্রদেশের নয়া মুখ্যমন্ত্রী তিনি তার নতুন মন্ত্রিসভাকে ঢেলে সাজাতে বিশেষজ্ঞদের উপর নির্ভর করছেন'।
সম্মেলনের পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রাজ্যের মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্তগুলি রাজ্যের সমগ্র জনগণকে প্রভাবিত করে। তাই মন্ত্রী পরিষদের সদস্যদের পর্যায়ক্রমিক প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। প্রশিক্ষণ শাসনের সূক্ষ্ম বিষয়গুলি শেখার সুযোগ দেবে, যা প্রশাসনকে সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে পরিচালিত করবে এবং মন্ত্রী পরিষদের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এর প্রত্যক্ষ সুবিধা রাজ্যের জনগণের কাছে পৌঁছাবে।"
ডক্টর বিক্রান্ত সিং তোমর যিনি ইভেন্টের একজন বক্তা ছিলেন তিনি দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, “আমি স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এবং নেতৃত্বের উপর একটি সেশন নিয়েছিলাম। আমি মন্ত্রীদের বলেছিলাম তাদের মানসিক চাপ শেয়ার করার জন্য বই পড়তে। বিধানসভার স্পিকার নরেন্দ্র সিং তোমর, পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন এবং শ্রম মন্ত্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল এবং নগর আবাসন ও উন্নয়ন মন্ত্রী শ্রী কৈলাশ বিজয়বর্গীয় অধিবেশনের বিশেষ আমন্ত্রিত অতিথি।
২রা ফেব্রুয়ারি জারি করা আদেশে, ২০০৮-ব্যাচের অফিসার ভরত যাদবকে মুখ্যমন্ত্রীর সচিব পদে নিযুক্ত করা হয় এবং অবিনাশ লাভানিয়া, ২০০৯-ব্যাচের আইএএস অফিসার এবং এমপি রোড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশনের সচিবকে অতিরিক্ত সচিব হিসাবে নিযুক্ত করা হয়। পাশাপাশি ২০১০-ব্যাচের অফিসার চন্দ্রশেখর ওয়ালিম্বেকেও মুখ্যমন্ত্রীর অতিরিক্ত সচিব হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে । ২০১৫ -ব্যাচের অফিসার অদিতি গর্গ এবং ২০১৬-এর ব্যাচের অফিসার আনশুল গুপ্তকে মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয়ে ডেপুটি সেক্রেটারি করা হয়েছে।