Cabinet Reshuffle: বাজপেয়ী জমানার বিজেপি থেকে শুরু করে মোদী-শাহ জমানা, সব প্রজন্মের কাছে পরিচিত মুখ প্রকাশ জাভরেকড়। দ্বিতীয় মোদী মন্ত্রিসভায় তথ্য-সম্প্রচারের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল বন এবং পরিবেশ মন্ত্রকের। কিন্তু বুধবার মোদী মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের আগে সব মন্ত্রক থেকেই পদত্যাগ করেন এই প্রবীণ সাংসদ। কিন্তু কেন? বিজেপি সুত্র বলছে, করোনার দুটি ঢেউ, লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা, অক্সিজেন সঙ্কটে নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল মোদী সরকারের। বিরোধীরা প্রায় টুঁটি চিপে ধরে করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রের ব্যর্থতাকে কাঠগড়ায় তুলেছিল। আর সরকারের মুখ হয়েও সেই আক্রমণ সামলাতে হিমশিম খেয়েছে জাভড়েকরের তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক। বিদেশী অনেক সংবাদ মাধ্যম মোদী সরকারের বিদেশ নীতি থেকে অর্থনীতি এবং করোনাকালে স্বাস্থ্যনীতির সমালোচনায় সরব হয়েছে।
সেভাবে এগিয়ে এসে কোনও সমালোচনার জবাব দিতে পারেনি তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক। যার প্রভাবে পদত্যাগ করতে হয়েছে জাভড়েকরকে। তবে মন্ত্রক আধিকারিকদের মন্তব্য, এই কোনও কিছুর সঙ্গেই প্রত্যক্ষ যোগ নেই তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের। কিন্তু ড্যামেজ কন্ট্রোলের ব্যর্থতার দায় ঘাড়ে নিয়েই সরতে হয়েছে মন্ত্রীকে। শুধু কোভিড মোকাবিলা নয় চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে সংশোধিত গণমাধ্যম আইন আনে কেন্দ্র। ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যম এবং নেটফ্লিক্স-অ্যামাজনের মতো মাধ্যমের কন্টেন্ট তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রকের নজরদারিতে থাকবে। সংশোধিত আইনে এই পরিসর তৈরি করা হয়। আর তাতেই শয়ে শয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় আদালতে। বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগ তুলে কোর্টে মামলা দায়ের করা শুরু করে গণমাধ্যমগুলো। এতে আরও বেশি ক্ষুন্ন হয়েছে মোদী সরকারের ভাবমূর্তি।
যার নেতিবাচক প্রভাবে আরও খুলে যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা থেকে জাভড়েকরের প্রস্থানের পথ। শুধু তাই নয়, বন-পরিবেশ মন্ত্রকের মন্ত্রী হিসেবে দেশের অরণ্যক্ষেত্র বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন জাভড়েকর। গত দুই বছরে প্রায় ১৫ হাজার বর্গকিমি অরণ্যক্ষেত্র বেড়েছে দেশে। যার প্রভাবে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বাঘ, সিংহ ও লেপার্ডের সংখ্যা। কিন্তু বন্যআইনের যে খসড়ার ওপর ভিত্তি করে কাজ করছিল তাঁর মন্ত্রক, সেই খসড়া নিয়ে বিরোধিতা হয়। গ্রিন ট্রাইব্যুনালে জমা পড়তে শুরু করে মামলা। পরিবেশপ্রেমী এবং বন্যপ্রাণ নিয়ে কাজ করা সংগঠনগুলোর কাছে পৌঁছতে পারেনি মন্ত্রক। সেই ব্যর্থতার দায়ও চাপে মন্ত্রীর ঘাড়ে। যার ফলে পদত্যাগ কোর্টে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এমনটাই মন্ত্রকের একটি সূত্রের দাবি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন