'ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে গেলে কি রাজ্যে সাংবিধানিক সঙ্কট তৈরি হবে না?', কটাক্ষের সুরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। বৃহস্পতিবার নিউটাউনের ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। ভবানীপুরে কেন এখনও প্রার্থী ঘোষণা করল না বিজেপি? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকেই কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের। তিনি বলেন, ''দু'মাস আগে নন্দীগ্রামে প্রার্থী দিয়ে তো রেজাল্ট দেখে নিয়েছে। লোকসভাতেও অনেক আগেই প্রার্থী ডিক্লেয়ার করে দিয়েছিলেন। তারপর ঝটকাটা কে খেলো?''
রাজ্যের পাঁচ কেন্দ্রে উপনির্বাচন বাকি থাকলেও শুধুমাত্র ভবানীপুরেই উপনির্বাচনের ছাড়পত্র দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মুখ্যসচিব চিঠি দিয়েছিলেন কমিশনে। ভবানীপুরে তড়িঘড়ি উপনির্বাচন করা না গেলে রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে বলে চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যসচিব। তারপরেই ভবানীপুরে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করে দেয় কমিশন। যা নিয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। অন্য কেন্দ্রগুলি এড়িয়ে কেন ভবানীপুরেই ভোটের ছাড়পত্র? তা নিয়ে কমিশনকেও কাঠগড়ায় তুলেছেন বিজেপি নেতারা। কমিশন কারও দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বঙ্গ বিজেপি। এমনকী ইতিমধ্যেই ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে।
ভবানীপুরে প্রার্থী হচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্টোদিকে, বামেরা এই কেন্দ্রে তরুণ মুখ তথা আইনজীবী শ্রীজীব বিশ্বাসকে টিকিট দিয়েছে। কংগ্রেস ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিচ্ছে না। বিজেপিও এখনও পর্যন্ত এই কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেনি। যা নিয়ে তৃণমূলের একাধিক নেতা টিপ্পনিও শুরু করেছেন। ভবানীপুরে প্রার্থী দিতে কেন দেরি করছে বিজেপি? সেই প্রশ্নের উত্তরে উল্টে তৃণমূলকেই কটাক্ষ করলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ''নন্দীগ্রামে ভোটের দুমাস আগে থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রার্থী ঘোষণা করেছিল তৃণমূল। রেজাল্ট তো দেখে নিয়েছে।''
আরও পড়ুন- ‘বাংলা থেকে নেতা-মিডিয়া নিয়ে যাওয়া ত্রিপুরার মানুষ পছন্দ করছেন না’, তৃণমূলকে কটাক্ষ দিলীপের
এদিন দিলীপ ঘোষ অরও বলেন, ''অন্য রাজ্য বলছে এখন নির্বাচন করার মতো পরিস্থিতি নেই। পশ্চিমবাংলার আরও চারটি উপনির্বাচন হচ্ছে না। দুটো সাধারণ নির্বাচন বাকি ছিল। সামশেরগঞ্জ আর জঙ্গিপুর। ওখানে করোনার প্রকোপও অতটা নেই। কিন্তু কলকতার বুকে সবসময় সেনসেটিভ। করোনার মধ্যে ভোট করে লোককে মেরে ফেলছে বলে বিধানসভা নির্বাচনে চেঁচিয়েছিলেন ওঁরা। যাঁরা কর্পোরেশন ইলেকশন করাচ্ছেন না পরিস্থিতি ঠিক নেই বলে। তাঁরাই মুখ্যমন্ত্রীকে মুখ্যমন্ত্রী রাখার জন্য নির্বাচন চেয়েছেন। সেই গ্রাউন্ডেই ভোট করাচ্ছে কমিশন। কাউকে এমএলএ বা মুখ্যমন্ত্রী করা কাজ নয় নির্বাচন কমিশনের।''
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন