বিতর্ক এবং তিনি যেন পরিপূরক। তবুও বরাবরই অকপট তিনি। নলহাটির বুথ ভিত্তিক দলীয় সম্মেলনেও তার অন্যথা হল না। দলের বুথ সভাপতিদের বীরভূম জেলার তৃণমূল সভাপতি সাফ নিদান, 'কিছু পেতে গেলে কিছু দিতে হবে।' এরপরই শাসক দলের দোর্দদণ্ডপ্রতাপ জেলা সভাপতির 'মানসিকতা' নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
রবিবার নলহাটির বানিওড়ের ৮৮ নম্বর বাহাদুরপুর গ্রামের বুথ সভাপতি দীননাথ ঘোষ সম্মেলনে অনুব্রতকে কাজের খতিয়ান পেশের সময় বলেন, 'এলাকার রাস্তা খুব খারাপ। তাই সাড়ে পাঁচশ ভোটে হেরেছি।'তাঁর কথা শেষ না হতেই অনুব্রত বলেন, 'যা বলার লিখিত আকারে বলবেন। কিছু দেবেন, কিছু নেবেন। একতরফা দেওয়া যাবে না। সারা জীবন কি শুধু দিয়েই যাব?'
এরপরই নিজস্ব ঢঙে দলের বুথ সভাপতিদের উদ্দেশে অনুব্রত বলে দেন, 'বিজেপিকে কেউ ভোট দিলে বিজেপির কাছে উন্নয়ন বুঝে নেবে। পঞ্চায়েত সদস্য আপনার। উন্নয়ন বন্ধ করে দিন। অনেক কাজ করেছেন।' এখানেই শেষ নয়, সম্মেলনে তাঁকে বলতে শোনা যায়, 'বামফ্রন্ট ৩৪ বছরে পারেনি। ৭০ বছরে কংগ্রেস পারেনি। আগে আমাদের ২০২১ সালে পুনরায় নিয়ে ক্ষমতায় আসুন, তার পর যা দেখার দেখব।'
আরও পড়ুন- হারানো জমি পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় ফের জঙ্গলমহল সফরে মমতা
অনুব্রতর সরাসরি উন্নয়ন রুখে দেওয়ার নিদানের বিরুদ্ধে সোচ্চার বিজেপি। দলের রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ কেষ্ট মণ্ডলের 'মানসিকতা' নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, 'বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যদের কাজ করতে দেন না তৃণমূলের পঞ্চায়েত। এখন শাসক দলের নেতারা উন্নয়নের কাজ বন্ধ করতে বলছেন। এটাই তৃণমূলের নীতি। অনুব্রতর মতো এই মানসিকতার নেতাদের রাজনীতিতে থাকাই উচিত নয়।'
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন