বুধবার ছিন্দওয়ারার দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন কমলনাথ। ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, 'বহু বছর ধরে কর্মীদের ভালোবাসা ও আস্থা পেয়ে আসছি, আপনারা যদি আমাকে বিদায় জানাতে চান, আমি প্রস্তুত'।
বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা-কল্পনার মধ্যে, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমল নাথ বুধবার ছিন্দওয়ারায় দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার সময় কিছুটা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। কমল নাথ দলের কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি নিজে কখনও কারুর উপর বোঝা হয়ে থাকতে চান না। এমনকী দলের উপরও নয়। দলের কর্মী-সমর্থকরা চাইলে তিনি দল ছেড়ে দিতে দু'বার ভাববেন না।
সম্প্রতি কমলনাথের বিজেপিতে যোগদান নিয়ে চলেছে বিস্তর জল্পনা। মঙ্গলবারও কমল নাথ এই ধরণের জল্পনাকে স্রেফ অপপ্রচার ও গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
বুধবার দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে ভাষণ দেন কমলনাথ। এসময় তিনি বলেন, 'বহু বছর ধরে কর্মীদের ভালোবাসা ও আস্থা পেয়ে আসছি । আপনারা যদি কমলনাথকে বিদায় জানাতে চান তবে সেটা আপনাদের পছন্দ। আমি যেতে প্রস্তুত'।
আরও পড়ুন : < Sheikh Shahjahan Arrested: শাহজাহানের চমকে দেওয়া নাটকীয় গ্রেফতারি! কোথা থেকে? কখন ধরল পুলিশ? জানালেন ADG দক্ষিণবঙ্গ >
অযোধ্যায় নির্মিত রাম মন্দির প্রসঙ্গে কমলনাথ বলেছিলেন যে ভগবান রামের মন্দির সকলের এবং এর নির্মাণের কৃতিত্ব বিজেপির একা নেওয়া উচিৎ নয়। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, রামমন্দির কি বিজেপির? এটা আমার-আপনার সকলের। জনগণের টাকায় মন্দিরটি নির্মাণ করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট একটি রায় দিয়েছে এবং যেহেতু বিজেপি ক্ষমতায় রয়েছে তারা মন্দিরটি নির্মাণ করেছে। তিনি আরও বলেন, 'আমি ছিন্দওয়ারায় আমার জমিতে ভগবান হনুমানের একটি বড় মন্দির তৈরি করেছি'।
কমলনাথের ছেলে নুকালনাথ ছিন্দওয়াড়ার সাংসদ। কমলনাথ আগেই ঘোষণা করেছিলেন তাঁর ছেলে নকুল আবার এই আসন থেকেই লড়বেন। সভায় ভাষণ দিতে গিয়ে ৭৭ বছর বয়সী প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা বলেন, 'বহু বছর ধরে মানুষের ভালোবাসা বিশ্বাস, আর্শীবাদ পেয়ে আসছি। আগামীদিনে এই ভালবাসাই আমার সঙ্গী'।
এই মাসের শুরুর দিকে, কমল নাথের সম্ভাব্য বিজেপি যোগদানের জল্পনা জোরদার হয়েছিল। তাঁর ছেলে নকুল নাথ নিজের এক্স হ্যান্ডেলের বায়ো থেকে 'কংগ্রেস' পরিচয় সরিয়ে দিয়েছিলেন। গত বছরের বিধানসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর দলের মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান হিসেবে প্রবীণ নেতাকে সরিয়ে দেয়। সেই নির্বাচনে বিজেপি ২৩০টি আসনের মধ্যে ১৬৩টি আসন জিতে ক্ষমতা ধরে রেখেছে। কংগ্রেস পায় মাত্র ৬৬টি আসন।