আলকায়দা যোগ সন্দেহে সেপ্টেম্বরে মুর্শিদাবাদ ও কেরালা থেকে দশ জনকে গ্রেফতার করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা বা এনআইএ। ধৃতদের 'অবিলম্বে ও নিশর্তে' মুক্তির দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মুসলমানদের অপদস্থ করতেই মোদী সরকার এবং এনআইএ ধৃতদের সঙ্গে জঙ্গি যোগের তত্ত্ব প্রমাণে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে দাবি মন্ত্রীর।
জনশিক্ষা ও গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেছেন, 'আমি স্থানীয় বহু মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। তারপরই ধৃতদের অবিলম্বে ও নিশর্তে মুক্তির দাবি করছি।' এনআইএ দেশজুড়ে যুদ্ধের পরিস্থিতি গড়ে তুলেছে বলে অভিযোগ মন্ত্রীর। তাঁর কথায়, 'এআইএ যা করছে তা যুদ্ধের থেকে কম নয়। ভোর-রাতে অস্ত্রধারী কয়েকজন গ্রামে ঢুকে একসঙ্গে ছয়'জনকে গ্রেফতার করে নিল। পুলিশও কিছু জানে না। কারা গ্রেফতার করল, কী অপরাধে গ্রেফতার তা কাউকে জানানো হল না।'
মঙ্গলবার জামিয়াত-উলেমায়-ই-হিন্দ সহ বেশ কয়েকটি মুসলিম সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক করেন সিদ্দিকুল্লা। এরপর তিনি বলেছেন, 'গ্রামবাসীরা বলছেন ধৃতরা নিরপরাধ। তাই আমরা মনে করছি, মুসলমানদের অপদস্থ করতেই এই গ্রেফতার করা হয়েছে।' এরপরই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মন্ত্রী জানিয়েছেন, মোদী সরকার ও এনআইএ-র লক্ষ্য মুসলমানদের হেয় করা। গোটা বিষয়টিকে 'কেন্দ্রীয় সরকারের ভয়ঙ্কর কৌশল' বলে দাবি করেন তিনি। জানিয়েদেন ধৃতদের প্রতি সহানুভূতিশীল তিনি।
সীমান্তবর্তী মুর্শিদাবাদের ডোমকল, রাণিনগরে বিএসএফ গ্রামবাসীদের উপর অহেতুক অত্যাচার চালান বলেও এ দিন অভিযোগ করেছেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি আল-কায়দা যোগ সন্দেহে মুর্শিদাবাদ থেকে ছয়'জনও কেরালার এর্নাকুলাম থেকে তিন জনতে গ্রেফতার করে এনআইএ। পরে ফের মুর্শিদাবাদ থেকে এক জনকে একই অপরাধে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতরা দিল্লিতে সহ দেশের বিভিন্নপ্রান্তে নাশকতা চালানোর পরিক্পনা করেছিল বলে দাবি এনআইএ-র। জঙ্গি সন্দেহভাজনদের ডেরা থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্র সহ বহু নথি। ধৃতদের দিল্লি নিয়ে গিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে এনআইএ।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন