সীমান্ত ইস্যু নিয়ে ভারত-চিন সংঘাত আবহেই কেন্দ্রকে নিশানা করেছে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি। এর পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বিরোধীদের দিকেই নিশানা ছুঁড়ে দিলেন, তিনি বলেন, যে অংশটি চিন দাবি করেছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছেন সেটি আসলে ১৯৬২ সালেই চিনের দখলে' চলে গিয়েছে যে সময় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জওহরলাল নেহেরু। রাহুলের লাদাখ প্রশ্নের জবাবে পাল্টা জবাব বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের।
বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর শনিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে তীব্র কটাক্ষ করে বলেন, "কিছু মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে চিন ইস্যু নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছে"। তিনি আরও বলেন, যে অঞ্চলটি চিনের দখলে গিয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে সেটি ১৯৬২ সালে জওহরলাল নেহেরু প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে ভারত-চিন যুদ্ধে সেই অঞ্চলটি চিন দখল করে, পুরনো ইতিহাসকে তুলে ধরে কেউ কেউ বলছেন এটি সম্প্রতি ঘটেছে। গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছেন। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সিন্ধু নদীর জল চুক্তি (আইডব্লিউটি) সম্পর্কে, জয়শঙ্কর বলেন "এটি একটি প্রযুক্তিগত বিষয় এবং দুই দেশের সিন্ধু কমিশনাররা এই বিষয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলবেন।
সম্প্রতি ভারত-চিন সংঘাত আবহে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে পূর্ব লাদাখে ৬৫টি পেট্রোলিং পয়েন্টের মধ্যে ২৬টিতে অস্তিত্বই নেই ভারতের! চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট, সামনে আসতেই শোরগোল। সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমের এহেন দাবি কে কেন্দ্র করে তুঙ্গে তরজা। যদিও এই নিয়ে সরকারকে আক্রমণ করতে ছাড়েননি বিরোধী শিবির। এপ্রসঙ্গে জয়শঙ্কর বলেন, বলেছিলেন "বিরোধীদের মধ্যে কিছু লোক রয়েছেন যাদের বোঝা খুব কঠিন, কখনও কখনও এঁরা ইচ্ছাকৃতভাবে চিন সম্পর্কে মিথ্যা খবর ছড়ায় শুধুমাত্র রাজণৈতিক ফায়দা তোলার জন্য”।
জয়শঙ্কর আরও বলেন, “তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, চিন সম্পর্কে ভুল খবর ছড়াচ্ছে। আমি জানি তারাও রাজনীতি করছে। কখনও কখনও তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই ধরনের খবর ছড়ানো হচ্ছে এবং তারা জানে যে এটি সত্য নয়।"
কারুর নাম না টেনেই জয়শঙ্কর বলেন, “কখনও কখনও বিরোধী দলের কিছু নেতা এমন কিছু অঞ্চলের কথা সামনে তুলে ধরছেন যেটি ১৯৬২ সালের যুদ্ধে চিন দখল করেছিল। তারা এমনভাবেই বিষয়টি আপনার সামনে তুলে ধরবে যে আপনি মনে করবেন ঘটনাটি গতকালই ঘটেছে” ।